ছবি সংগৃহীত
চলতি বছরের মে মাসে ১৪৬ জন কন্যা এবং ১৫৫ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ তথ্য ওঠে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) নারীবাদি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৩টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরের বরাতে বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০২৩ সালের মে মাসে মোট ৩০১ নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪৯ জন কন্যাসহ ৬৫ জন। তার মধ্যে ৮ জন কন্যাসহ ১৫ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১ জন কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ৬ জন কন্যাসহ ৯ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ১৭ কন্যাসহ ২৫ জন। উত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ১৫ কন্যাসহ ১৬ জন। নারী ও কন্যা পাচারের ঘটনার শিকার হয়েছে ২জন। এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ১ জন। ৩ জনের অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যুর হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৫ জন, এদের মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যার শিকার হয়েছে ৫ জন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১০ জন কন্যাসহ ১৬ জন। পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ জন। বিভিন্ন কারণে ৪ জন কন্যাসহ ৪৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ১ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ৯ জন কন্যাসহ ২৬ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৫ জন কন্যাসহ ২৪ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, এদের মধ্যে ৪ জন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে। ১২ জন কন্যাসহ ১৬ জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে। ৫ জন কন্যাসহ ৭ জনকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ফতোয়ার শিকার হয়েছে ৪ জন। পুলিশী নির্যাতনের ঘটনার শিকার হয়েছে ১ জন। ৪ জন কন্যাসহ ৬ জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে। বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে ৪টি, এরমধ্যে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা হয়েছে ৩টি। এছাড়া ৩ জন কন্যাসহ ৭ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
ইউ