ফাইল ছবি
২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬১৯ জন কন্যা এবং ১৮৭৬ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার (১ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো মালেকা বানু স্বাক্ষরিত সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছর জুড়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬৭২ জন কন্যা ও ৩১৫ জন নারী। তার মধ্যে ১২১ জন কন্যাসহ ২২৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ২৩ জন কন্যাসহ ৩৮ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, ৭ জন কন্যাসহ ৮ জন ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও ৯৪ জন কন্যাসহ ১৪০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ১৬৩ জনের এর মধ্যে ১২২ জন কন্যা। উত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ১২৫ জন এর মধ্যে ১০৪ জন কন্যা। তার মধ্যে উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা ঘটনা ঘটেছে ৬ জন কন্যাসহ ৭ জন। নারী ও কন্যা পাচারের ঘটনা ঘটেছে ১০৮ জনের এর মধ্যে কন্যা ২৮ জন। এসিডদগ্ধের ঘটনা ঘটেছে ২২ জনের এর মধ্যে কন্যা ৩ জন। ২৫ জনের অগ্নিদগ্ধের ঘটনা ঘটেছে এর মধ্যে ১২ জনের অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে এবং তার মধ্যে ৩ জন কন্যা। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৬৫ জন, এরমধ্যে ৬৫ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে এবং তার মধ্যে ৩ জন কন্যা। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে মোট ২১৯ জন এর মধ্যে ৫১ জন কন্যা। পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২১ জন তার মধ্যে ৫ জন কন্যা। মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১ জন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১ জন। ১৩ জন গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে এর মধ্যে ৫ জন গৃহকর্মীর হত্যার ঘটনা ঘটেছে এবং ২ জন আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন কারণে ৯২ জন কন্যাসহ ৫০৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৫২ জনকে এর মধ্যে কন্যা ১২ জন। ৬৯ জন কন্যাসহ ৩১০ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৮২ জন কন্যাসহ ২৩৯ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, এরমধ্যে ১৬ জন কন্যাসহ ৩৭ জন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে। এছাড়াও আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ১ জন কন্যাসহ ৫ জন। পিতৃত্বের দাবির ঘটনা ঘটেছে ১ টি। ১০৯ জন কন্যাসহ ১২৭ জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে এবং ৬ জন কন্যাসহ ৭ জন অপহরণের চেষ্টার শিকার হয়েছে। ১ জন কন্যাসহ ৯ জন ফতোয়া ঘটনার শিকার হয়েছে। ২ জনকে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে। জোরপূর্বক বিয়ের ঘটনা ঘটেছে ২ টি। পুলিশী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৫ টি। ২৯ জন কন্যাসহ ৫৭ জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে। বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে ২৭টি। বাল্যবিবাহের ঘটনা প্রতিরোধ করা হয়েছে ৬১ টি। এছাড়া ৩১ জন কন্যাসহ ৯৪ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
ইউ