
সংগৃহীত ছবি
গরমে ঠান্ডা বাতাস পেতে বেশিরভাগ মানুষ ফ্যান চালান। যাদের সামর্থ্য আছে তারা হয় এসি কেনেন কিংবা একটু কম খরচের এয়ার কুলার। কিন্তু, মুশকিল হল প্রবল গরমে সিলিং ফ্যানের কার্যকারিতা প্রায় নেই বললেই চলে। যেখানে এয়ার কুলারের দাম কমছে কম ১০ হাজার টাকা। অন্যদিকে এসির দাম শুরুই হয় ৪০ হাজারের ওপরে। একই সঙ্গে রয়েছে চড়া বিদ্যুতের বিল। তবে, সম্প্রতি, প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রীতিই ঘর ঠাণ্ডা রাখার জন্য নতুন রূপে প্রকাশ্যে এসেছে। সেটি হল, মাটির পাত্রের এয়ার কুলার।
মাটির পাত্রের এয়ার কুলারের একাধারের সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব। গ্রাম এবং শহরে দুই ধরনের বাড়িতেই জনপ্রিয় হয়েছে এটাই।
এই এয়ার কুলার তৈরি হয়েছে মূলত কাদামাটির বৈশিষ্টের উপর। কাদামাটিতে প্রাকৃতিকভাবে ছিদ্র থাকে। মাটির কুলারে পানি ধীরে ধীরে ছিদ্রের সাহায্যে বাষ্পীভূত হয়। ফলে চারপাশের বাতাস থেকে তাপ টেনে নেয়। ঠিক একই নিয়মে মাটির পাত্রে রেখে দিলে অনেকক্ষণ পানি ঠাণ্ডা থাকে।
এই মাটির পাত্র বিক্রেতাদের পরামর্শ, পাত্রের চারপাশে একটি ভেজা কাপড় জড়িয়ে রাখলে এটি আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারে। এর ফলে অতিরিক্ত আর্দ্রতা বাষ্পীভূত হয়ে বাতাসকে আরও ঠাণ্ডা করে।
বিশেষ এই এয়ার কুলার তৈরি হয়েছে ভারতে। দেশটির বাজারে এগুলো এখন দেদারসে বিক্রি হচ্ছে।
কত দামের মাটির পাত্রের এয়ার কুলারে বেসিক সিঙ্গেল-ফ্যান মডেলের এখন দাম ভারতে ২৬০০ রুপি। ছোট ঘরের জন্য এই পাত্র উপযুক্ত। ডবল-ফ্যান মডেলের দাম প্রায় ৩৯০০ রুপি। এর থেকেও বড়টি পাওয়া ৬ হাজার রুপিতে। বিদ্যুৎ খরচ নামমাত্র। কারণ, কেবল একটি ছোট ফ্যানের বিদ্যুৎ খরচের কাছাকাছি।
কিন্তু, এই ফ্যানের রয়েছে সীমাবদ্ধতাও। উচ্চ তাপমাত্রা এবং শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য এই কুলার খুব একটা কার্যকরী নয়। তাই সব দেশ ও এলাকার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে।
যদিও এয়ার কন্ডিশনারের মতন ঘর ঠাণ্ডা করতে পারবে না। তাও ঘরের ক্ষেত্রে ফ্যানের চেয়ে বেশি ভালো কাজ দেবে।
বাংলায় বসে মাটির এয়ার কুলার পেতে হলে অনলাইনে খুঁজতে পারেন। সস্তায় পাওয়া যাবে কয়েকটি সাইটে। এছাড়া সমাজমাধ্যমের ভিডিও দেখে নিজে নিজে বানিয়েও নেওয়া যেতে পারে।
//এল//