সংগৃহীত ছবি
ফেসবুকসহ মেটার চারটি প্ল্যাটফর্মকে তলব করেছিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তবে সশরীরে হাজির হতে না পারলেও সিঙ্গাপুর অফিস থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশ নিয়েছেন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রামের প্রতিনিধিরা।
বুধবার (৩১ জুলাই) সশরীরে সকালে বিটিআরসিতে এ বৈঠক শুরু হয়েছে। এতে উপস্থিত রয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদসহ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে মেটার প্রতিনিধি হিসেবে কারা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন, তা এখনো জানা যায়নি।
জানা গেছে, সহিংসতামূলক কনটেন্ট প্রচার ও নিজেদের কমিউনিটি গাইডলাইন মানতে মেটার চারটি প্ল্যাটফর্মকে নির্দেশ দেওয়া হবে। সেগুলো তারা না মানলে পরবর্তীতে এসব প্ল্যাটফর্মের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
বৈঠকে বসার বিষয়টি নিশ্চিত করে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে পলক লিখেছেন, ‘মেটার (ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম) সিঙ্গাপুরস্থ এশিয়া সদর দপ্তরের সঙ্গে (অনলাইন প্লাটফর্মে) বাংলাদেশে অফিস স্থাপন, মিস ইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশন জনিত যেকোন অস্থিরতা নিরসনে ফ্যাক্ট চেকিং জোরদারের উদ্যোগ গ্রহণসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) বৈঠক চলছে।’
এর আগে ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে ৯টার দিকে দেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত ২৩ জুলাই রাত থেকে চালু করা হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। তবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হলেও চালু হয়নি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং টিকটক। এরপর এসব যোগাযোগমাধ্যমকে তলব করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন।
সেসময় জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছিলেন, ‘ফেসবুক তাদের পলিসি অনুযায়ী যেসব কনটেন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্লক করে দেওয়ার কথা, সেগুলো সাবলীলভাবে প্রচার করে যাচ্ছে। সেসব কনটেন্টের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কেন তারা ব্যবস্থা নেয়নি, সেটা জানতে চাওয়া হবে। বিটিআরসি নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে যে ব্যাখ্যা চেয়েছে, তা স্পষ্ট করে না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে অবাধে তাদের কার্যক্রম খুলে দেওয়া হবে না।’
//এল//