
সংগৃহীত ছবি
শুরু হলো নেপাল ও বাংলাদেশের পাঁচ ম্যাচের কাবাডি টেস্ট সিরিজ। এই টেস্ট সিরিজ দিয়ে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ কাবাডি নারী দল। প্রথমবারের মতো কাবাডি টেস্ট সিরিজে নাম লেখালো বাংলাদেশ জাতীয় নারী কাবাডি দল। নেপাল নারী দলের জন্যও এটা প্রথম কাবাডি টেস্ট সিরিজ।
নেপালের ললিতপুরের সাতদোবাতোয় তায়কোয়ান্দো হলে প্রদীপ জ্বালিয়ে সিরিজের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নেপাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সদস্য সচিব ট্যাঙ্কা লাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ, কাবাডি ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক ইসরাইল হাওলাদার, নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর শোয়েব আব্দুল্লাহ, অল নেপাল কাবাডি অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব অরবিন্দ কুমার।
শক্তিতে নেপাল নারী দল বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। এসএ গেমস ও এশিয়ান গেমসে নেপালের কাছে বাংলাদেশ নারী দল হেরেছে। এছাড়া শারীরিক গড়নেও এগিয়ে নেপাল দল। ম্যাচে এই সুবিধা বেশ ভালোভাবে কাজ লাগিয়েছে তারা।
শুরু থেকেই পয়েন্ট বাড়িয়ে নিতে থাকে স্বাগতিক দল। বোনাস পয়েন্টে এগিয়ে যায় তারা। পাশাপাশি প্রথমার্ধে একটি লোনা পায় নেপাল। ১৮-৬ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে নেপাল।
দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। একই ছন্দে খেলে ম্যাচ নিজেদের আয়ত্তে রাখে নেপাল। এই অর্ধে আরও দুটি লোনা পায় নেপাল। শেষ পর্যন্ত ৪১-১৮ পয়েন্টে বাংলাদেশকে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় নেপাল। একই ভেন্যুতে হবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।
বাংলাদেশের এই পরাজয়ের জন্য ভ্রমণ ক্লান্তি ও ইনজুরিকে দায়ী করেছেন বাংলাদেশ দলের কোচ শাহনাজ পারভিন মালেকা।
তিনি বলেন, 'আমরা গতকালই ঢাকা থেকে এখানে এসেছি। তাই সেভাবে বিশ্রামের সময় পাইনি। এছাড়া আমাদের দুই থেকে তিনজন খেলোয়াড় ইনজুরিতে আছে। এই ম্যাচ থেকে যে সমস্যাগুলো আমরা বুঝতে পেরেছি আশা করছি সেগুলো কাটিয়ে পরের ম্যাচগুলোতে আমরা ভালো কিছু করব। নেপাল নিয়মিত অনুশীলনে ছিল। কিন্তু আমরা ঈদের কারণে ছুটিতে গিয়েছিলাম। তাই আমাদের অনুশীলনের কিছুটা ঘাটতি ছিল। তবে আশা করছি পরের ম্যাচে আজকের তুলনায় অনেক ভালো খেলবে বাংলাদেশ দল।'
//এল//