ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি কেবল ক্রিকেট মাঠেই নয়, সম্প্রতি নিজের জায়গা করে নিয়েছেন দেশের পাঠ্যবইয়েও। সপ্তম শ্রেণির ইংলিশ ফর টুডে বইয়ে ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্থান পাওয়ার খবরে তার পরিবার ও ভক্তদের মধ্যে বিরাজ করছে আনন্দের জোয়ার।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে এই খবর নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানান জ্যোতি। তিনি জানান, মায়ের কাছ থেকেই তিনি প্রথম শুনেছেন বিষয়টি। এটি তার পরিবারের জন্য বড় গর্বের একটি অধ্যায়।
জ্যোতির ভাষায়, ‘আম্মু আমাকে এ নিয়ে বলেছে। এটি সত্যিই আনন্দের একটি বিষয়। তবে, আমার চেয়েও আমার পরিবার বেশি খুশি হয়েছে।’
জ্যোতির এমন অর্জন আরও তাৎপর্যপূর্ণ এই কারণে যে, এতদিন ওই জায়গাটি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নামে ছিল। নতুন প্রজন্মের ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার নাম উঠে আসা নারী ক্রিকেটের জন্য একটি যুগান্তকারী বার্তা বহন করে।
২০২১ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান নিগার সুলতানা জ্যোতি। এরপর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও তার ওপর আস্থা রাখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তার নেতৃত্বে দল পেয়েছে উল্লেখযোগ্য সাফল্য।
ভারত ও পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে সিরিজ জয় এবং বিশ্বকাপে ঐতিহাসিক প্রথম জয় তার নেতৃত্বের সাক্ষী। মাঠে তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তিনি কেবল দলকে এগিয়ে নিয়েছেন তা নয়, তরুণ প্রজন্মের নারী খেলোয়াড়দের জন্য একজন অনুপ্রেরণার উৎসও হয়ে উঠেছেন।
জ্যোতির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারও বেশ উজ্জ্বল। ৫০টি ওয়ানডেতে ২৪.৫৭ গড়ে রান করেছেন ৯৮৩। আর টি-টোয়েন্টিতে তার সংগ্রহ ২ হাজার ৬৬ রান, গড় ২৪.৪৮। এখন পর্যন্ত তিনি ২১টি ওয়ানডে এবং ৫৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর নিয়ে আশাবাদী জ্যোতি জানান, দলগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সাফল্য অর্জনই তার মূল লক্ষ্য। মাঠের বাইরেও, নিজের অর্জন দিয়ে নারীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দেওয়ার প্রত্যয় তার কণ্ঠে ছিল স্পষ্ট।
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটে নিগার সুলতানার এমন এগিয়ে চলা ক্রীড়াক্ষেত্রে নারীদের ভূমিকা এবং অবদানের গুরুত্বকে নতুনভাবে চিত্রিত করছে। তার সাফল্য শুধু ক্রিকেট নয়, পুরো দেশের জন্য এক অনুপ্রেরণার নাম।
ইউ