
ছবি সংগৃহীত
ঢাকা, ১৯ মার্চ ২০২৫: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে ভিন্ন মতবাদ রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, বন্দোবস্তের নামে ভিন্ন সুরে কথা বললে তা জনগণের মধ্যে সন্দেহ তৈরি করতে পারে এবং পরাজিত শক্তির জন্য সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, চরমপন্থা ও উগ্র ধর্মীয় মতবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠলে তা গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হবে।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে বিএনপির আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সংস্কার নিয়ে দেশের রাজনীতিতে যখন নানা মেরুকরণ চলছে, ঠিক তখনই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একত্রিত হয়ে বিএনপির ইফতার মাহফিলে অংশ নেয়। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র এখনও চলছে, তাই দলগুলোর মধ্যে ঐক্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি আরও বলেন, সংস্কার এবং নির্বাচনকে একে অপরের বিপরীতে দাঁড় করানোর দরকার নেই। দেশের সঙ্কট যেন দীর্ঘায়িত না হয়, সেদিকে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিতে হবে। তারেক রহমান নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের ঘটনা বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশের অর্ধেক জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তাঁর মতে, সরকার, প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বর্তমানে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরিতে বেশি মনোযোগী হওয়ার কারণে নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় পড়ছে।
এসময় তিনি উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, প্রায় দুই বছর আগে বিএনপি জনগণের সামনে ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি উপস্থাপন করেছিল। তিনি বলেন, এই কর্মসূচি এখনো চূড়ান্ত নয় এবং এর মধ্যে প্রয়োজনীয় সংযোজন-বিয়োজনের সুযোগ রয়েছে। বিএনপি মনে করে, সংস্কার এবং নির্বাচন উভয়টি প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিভিন্ন খাতের সংস্কারের প্রস্তাব ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পৌঁছে গেছে। তিনি দলগুলোর কাছে অনুরোধ করেন, এসব প্রস্তাব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে মতামত দিতে।
ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, ঐক্য প্রতিষ্ঠা করাই এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন, এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের পথে যাওয়ার বিকল্প নেই এবং দ্রুত নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার কথা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেন।
এসময় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম, জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, এবং গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নূরসহ বিভিন্ন দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
ইউ