সংগৃহীত ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামী সোমবার (৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশত্যাগ করবেন। এ সময় মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক, নার্স ও ব্যক্তিগত সহকারীসহ মোট ১৫ জন তার সঙ্গে যাবেন।
আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে বিএনপি নেত্রীকে প্রথমে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে, পরে সেখান থেকে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হবে।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে পূর্ব বাল্টিমোরে বিশ্বখ্যাত জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তার যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসাও নেওয়া হয়েছে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গত আগস্টের শুরুতে নবায়ন করা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) খালেদা জিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে নভেম্বরে তিনি যুক্তরাজ্যের ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন। ইতোমধ্যে অন্তত ১৫ জনের সফরকারী টিমের তালিকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খালেদা জিয়া ও তার যাত্রা সঙ্গীদের ভিসা প্রাপ্তিতে সহযোগিতা প্রদানসহ বিষয়টি তদারকি করছে।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি থাকার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেয়। এরপর থেকে ৬ মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নেত্রীর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার।
এমন অবস্থায় গত ৫ আগস্ট গণ আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এরপর থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে বিএনপি।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে আইসিইউতে রেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তাকে দীর্ঘ সময় চিকিৎসা নিতে হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর গত ২১ আগস্ট এভারকেয়ার হাসপাতালে এক মাস চিকিৎসাধীন থেকে বাসায় ফেরেন তিনি।
//এল//