ছবি সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ছাত্ররা এককভাবে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের ক্রেডিট নিতে চায়। এটা ঠিক না। শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে লেখা সংবিধানকে যখন কবর দেয়ার কথা বলা হয় তখন কষ্ট লাগে। কীভাবে বলেন? সংবিধান একটি রাফপাতা নয়, চাইলেই ছুড়ে ফেলে দিলাম।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নব নির্বাচিত আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, এই ধরনের কথা কিন্তু ফ্যাসিবাদিদের মুখ থেকে আসে। মেরে ফেলবো, কেটে ফেলবো। ছাত্ররা যেভাবে কথা বলছে, তাতে ৭১ সালে স্বাধীন করে আমরা কি করলাম? একটা পক্ষ বলবে পাকিস্তান থেকে দেশকে আলাদা করে ভুল করেছি। আমরা একাত্তরের রক্তের সমর্থক।
মির্জা আব্বাস বলেন, শুধু সংস্কার করবো, এক ঢোল পেটায় যাচ্ছি, কিছুই দেখছি না। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আছে কিন্তু সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নেই। সংস্কার করার কথা করেন, যতটুকু লাগে করেন। তারপর নিদিষ্ট সময় নির্বাচন দেন।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন দিলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে এটা ভাবে দেশের মানুষ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বিএনপি ভাবে না। কেউ যদি ভাবে পুরো বাংলাদেশ তাদের পাশে আছে, তাই বলে যা খুশি তাই করবেন সেটা ভালো হবে না।
এসময় মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাবে এটা কখনো ভাবে না। বিএনপি নির্বাচন চায়। ভোটের অধিকার চায়।
মির্জা আব্বাস বলেন, সচিবালয়ে বাকশালী সচিবকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাকশালীদের রেখে আপনারা কি সংস্কার করবেন। আপনারা আবারও কি আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন?
সচিবালয়ে আগুন লেগেছে, আনসার বিদ্রোহ হয়েছে আরো কতকিছু হবে আমরা কেন সেই সুযোগ দিচ্ছি? আমাদের দেশের পাশে যারা আছে তারা বাংলাদেশকে স্থিতিশীল থাকতে দিতে চান না।
তিনি বলেন, আনসার বিদ্রোহ, আগুন এমনি এমনি হচ্ছে না। কেউ না কেউ উসকানি দিচ্ছে। তারা সচিবালয়ে বসে আছে। তারা উপদেষ্টাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে।
ইউ