ফাইল ছবি
চাঁদাবাজির মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ড থেকে বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আমানউল্লাহ আমানের আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেন।
আদালতে আমানউল্লাহ আমানের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও নাজমুল হুদা।
অন্যদিকে, অর্থ পাচারের মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ওমর সাদাত ও সাব্বির হামজা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
২০০৭ সালের ৬ মার্চ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন পূর্ব আগানগরের বাসিন্দা রফিকুল আলম চাঁদাবাজির অভিযোগে আমানউল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় ২০০৪ সালের ২৬ জুনের এক ঘটনায় ২০০৫ সালে দুই ধাপে ৫ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ আমানউল্লাহ আমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০০৮ সালের ৮ মে তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এর বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন আমানউল্লাহ আমান। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আপিল মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট।
অন্যদিকে, ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালত। এছাড়া, তাকে ১২ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ে লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের হিসাবে থাকা ৪৪ হাজার ৬১০ দশমিক শূন্য ৮ ব্রিটিশ স্টার্লিং (বাংলাদেশি টাকায় ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা) বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। সেই আপিলের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় দেন হাইকোর্ট।
২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর চলতি বছরের আগস্টে কারামুক্ত হন তিনি।
//এল//