ছবি সংগৃহীত
সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, সংস্কার আগে, নাকি নির্বাচন আগে- এমন প্রশ্ন তুলে কেউ বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায়। কিন্তু বিএনপি মনে করে, সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি মনে করে নির্বাচন কমিশন গঠন জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠনের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। বৈষম্যহীন দেশ গড়তে প্রতিটি নাগরিকের বৈষম্যহীন ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্টতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ভিন্নমত থাকতেই পারে। তবে সাংবাদিকতা দলাদলিতে পরিণত করলে কী পরিণতি হতে পারে তা দেড় দশকে মানুষ টের পেয়েছে।
আওয়ামী লীগকে গণতন্ত্রের শত্রু মন্তব্য করে এই বিএনপি নেতা বলেন, স্বৈরাচার পালিয়ে যাবার পর অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রা শুরু হয়েছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চলমান যাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। পতিত সরকার কৌশলে মাথাচাড়া দেয়ার চেষ্টা করছে। তবে সবাই সতর্ক থাকলে ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ থাকবে না।
তিনি বলেন, পলাতক স্বৈরাচারের নির্দেশে বিএনপি শতাধিক নেতাকর্মী হতাহত হয়েছেন। তাই ফ্যাসিস্টদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করতে পারে সেই লক্ষ্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। ভোটের অধিকার পাওয়া সুযোগ পেলে জনগণ তাদের বিচার ব্যবস্থা নেবে। তাই বিএনপি মনে করে, সংস্কার কাজ শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত।
স্বৈরাচারের কবল থেকে রাষ্ট্রকে মুক্ত করতে নাগরিকদের ভূমিকা গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি জানান, ভোট ছাড়া রাষ্ট্র ক্ষমতায় টিকে থাকার মানসিকতা দূর রাখতে হবে।
ইউ