ফাইল ছবি
২০১২ সালের পল্টন থানার বিস্ফোরক মামলায় খালাস পেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির আট জন নেতাকর্মী।
আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ সাংবাদিকদের জানান, ১৪ বছর পর পল্টন থানায় ময়লার গাড়ি পেড়ানোর মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব ও রুহুল কবির রিজভীসহ আট জন।
খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মাসুদ, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন বাবু, কাজী রেজাউল হক বাবু ও খন্দকার এনামুল হক এনাম।
বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটির শুনানি হয়। শুনানি শেষে মামলা থেকে তাদের খালাস দেন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত।
বিএনপি পক্ষের আইনজীবী জয়নুল আবেদিন মেজবাহ সাংবাদিকদের বলেন, মামলার মোট আসামি ছিল ৯ জন। তাদের মধ্যে একজন মারা যাওয়ায় বাকি আট জনকে খালাস দেওয়া হয়। মামলায় দীর্ঘদিন ধরে সাক্ষী না আসায় বিচারক আসামিদের খালাস দিয়েছেন।
এর আগে ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর ওই মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে ফখরুলের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট।
তখন আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন, এর ফলে বিচারিক আদালতে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে এই মামলা চলতে বাধা নেই।
তারও আগে ওই বছরে গত তিন সেপ্টেম্বর এই মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ গ্রেপ্তার ছয়সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ গ্রেপ্তার ছয়
দুই মামলায় আলাদা মেয়াদে সালমানের রিমান্ড মঞ্জুরদুই মামলায় আলাদা মেয়াদে সালমানের রিমান্ড মঞ্জুর
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন মডেল থানার অন্তর্গত মিন্টু রোডে মির্জা ফখরুল ইসলাম ও রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের ২০০/২৫০ নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। এ সময় তারা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি ভাঙচুর করে ও বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গাড়ি চালক মো. আয়নাল বাদি হয়ে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন খান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
ইউ