ঢাকা, বাংলাদেশ

রোববার, ভাদ্র ২৪ ১৪৩১, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

English

রাজনীতি

এবার জাতীয় ঐক্যের ডাক দিলেন কাদের

উইমেনআই প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৩৯, ২৭ জুলাই ২০২৪

এবার জাতীয় ঐক্যের ডাক দিলেন কাদের

ছবি সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহকে স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য গড়তে আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৭ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির জাতীয় ঐক্যের আহ্বানকে ‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি’ হিসেবে তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে এদের প্রতিরোধের আহ্বান জানাচ্ছি।

এর আগে, গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে এক সংবাদ বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জাতীয় ঐক্যের আহ্বান হলো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার মূল্যবোধবিরোধী এবং দেশবিরোধী অপশক্তির ঐক্য। উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসীদের ঐক্য। জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যের ডাক দিয়ে বিএনপি আবার প্রমাণ করলো জামায়াত-বিএনপির সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিই বিএনপির দোসর।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব সন্ত্রাস, সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের দায় এড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রবঞ্চনামূলক অপকৌশল গ্রহণ করছে। বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা সশস্ত্র হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ ও পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড নজিরবিহীন এবং তা জনসাধারণের মনে দগদগে ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। বিএনপি-জামায়াত ও তার দোসররা কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারে না। তাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালানোর গভীর চক্রান্ত নিয়ে মাঠে নেমেছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার কোনোভাবেই চায়নি কারও প্রাণহানি ঘটুক। বিপরীত দিকে বিএনপি-জামায়াত ছাত্রদল-শিবিরের টার্গেটই ছিল লাশের রাজনীতি। এদের সশস্ত্র ক্যাডারদের মোকাবেলার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নিরস্ত্র নেতাকর্মীরা সতর্কাবস্থায় ছিল।

কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের প্রশিক্ষিত ক্যাডাররা ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যাকাণ্ডের মিশনে সারাদেশ থেকে ঢাকায় এসে জড়ো হয়েছিল। হত্যা-গুপ্তহত্যা ও নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে তারা আবার ছড়িয়ে পড়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তৎপর রয়েছে। হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশি তদন্ত চলমান রয়েছে। সংঘটিত কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তদন্তের বাইরে থাকবে না। এই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণকে মির্জা ফখরুল ইসলাম গণগ্রেপ্তার হিসেবে অভিহিত করে রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

কোনো গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, নিরপরাধ কেউ কোনো প্রকার হয়রানির শিকার হবে না। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা আইনের সর্বোচ্চ সুষ্ঠু প্রয়োগ করবো। কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ইউ

সবার জন্য গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ

মণিপুরে বন্দুকযুদ্ধ-ড্রোন-রকেট হামলায় নিহত ৬

ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের নতুন নির্দেশনা

লঘুচাপ নিয়ে আবহাওয়ার সতর্কবার্তা, বন্দরে সংকেত

কেন হিন্দু কর্মকর্তাদের নামের তালিকা, জানাল পাট মন্ত্রণালয়

বিএসএমএমইউতে নতুন রেজিস্ট্রার নিয়োগ

বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, সাত দিনে ১২ জনের মৃত্যু

রবিবার থেকে অবকাশকালীন সূচিতে চলবে সুপ্রিম কোর্ট

সংস্কার চেয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘকে শিল্পীদের আল্টিমেটাম

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে হামলার হুমকি, যা জানাল বিসিবি

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে যে মন্তব্য করলেন নুর

আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১৪ প্রবাসী ফিরবেন সন্ধ্যায়

প্রতীকী বিষপান কর্মসূচিতে ১৫ নার্সিং শিক্ষার্থী অসুস্থ 

সীমান্তে পিঠ প্রদর্শন করবেন না, বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা