
ফাইল ছবি
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে ২০০৭ সালে প্রথম মহাকাশে পাড়ি দেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস। মহাকাশ অভিযানে তিনি যেমন তার দেশকে গর্বিত করেছেন, তেমনি পবিত্র কুরআন সম্পর্কেও তার গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন। মহাকাশে অবস্থানকালে সুনিতা উইলিয়ামস কুরআন পাঠ করেছেন, যা তার আধ্যাত্মিক শান্তি এবং বিশ্বাসের পরিপূর্ণ উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত।
মহাকাশে থাকার সময় সুনিতা উইলিয়ামস কুরআন তার সঙ্গী হিসেবে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং এই সময় তিনি অনুভব করে যে, পৃথিবী থেকে এতটা দূরে থাকলেও, কুরআন তাকে মানসিক শান্তি এবং আধ্যাত্মিক শক্তি প্রদান করেছিল। তার মতে, মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে দেখা এবং কুরআনের আয়াতগুলোর সঙ্গতিপূর্ণ ব্যাখ্যা তাকে এক নতুন দৃষ্টিকোণ দিয়েছে, যা তার চিন্তা ও অনুভূতির ক্ষেত্রে এক ভিন্ন মাত্রা সৃষ্টি করে।
গভীর আধ্যাত্মিক অনুভূতি প্রকাশ করে সুনিতা উইলিয়ামস বলেন, মহাকাশে থাকার সময় কুরআন পাঠ তার জন্য এক ধরনের সান্ত্বনা এবং শান্তির উৎস হয়ে দাঁড়ায়। তিনি অনুভব করেন, কুরআনে আল্লাহর সৃষ্টির বর্ণনা এবং মানবজাতির জন্য নির্দেশনা অত্যন্ত মূল্যবান এবং সঠিক পথে পরিচালিত হওয়ার উপায় প্রদান করে। সুনিতা উইলিয়ামসের মহাকাশে কুরআন পাঠের অভিজ্ঞতা তার জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়ায়, যা তাকে আধ্যাত্মিকভাবে উন্নতি ও শক্তি প্রদান করেছে।
তার এই অভিজ্ঞতা পৃথিবী থেকে দূরে থাকা সত্ত্বেও কুরআনের বাণী তাকে মানসিক ও আধ্যাত্মিকভাবে শক্তিশালী করে তুলেছিল, যা তার কাজ এবং জীবনদর্শনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। সুনিতা উইলিয়ামসের মহাকাশ অভিযানে কুরআন পাঠের অভিজ্ঞতা শুধু তার ধর্মীয় বিশ্বাসকেই গভীর করেছে, পাশাপাশি এটি তার জীবনে একটি শান্তিপূর্ণ ও আধ্যাত্মিক শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।
ইউ