সংগৃহীত ছবি
বড়লোক জামাই কীভাবে পেতে হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা শেখান তিনি। আর এতে তাঁর বছরে আয় ২২৮ কোটি টাকা। বলা হচ্ছিল চীনের ইনফ্লুয়েন্সার লে চুয়ানকুর কথা।
হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, চীনে লাভগুরু হিসেবে জনপ্রিয়তা বাড়ছে চুয়ানকুর। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্পর্ক ও আর্থিক বিষয়ে বিভিন্ন রকম পরামর্শ দেন। আর এতে তাঁর আয় বছরে ১৪ কোটি ২০ লাখ ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২২৮ কোটি টাকা)।
তবে তাঁর পরামর্শ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এই ইনফ্লুয়েন্সার অনেককেই অনৈতিক পরামর্শ দেন। তাঁর মতে, সম্পর্ক ও বিয়ের মানে হলো আর্থিক লাভের উপায়।
কয়েকটি ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, বিয়ে হচ্ছে ‘সুরক্ষিত’ ভবনে যাওয়া, টাকা হচ্ছে খাবার ও গর্ভাবস্থা হচ্ছে একটি বল বহন করা। তিনি বলেন, সব সম্পর্কই সুবিধা বিনিময়ের জন্যই। নিজের সুবিধা বাড়ানোর জন্যই সব কিছু করা উচিত।
চুয়ানকুর একটি লাইভস্ট্রিমে একজন যদি পরামর্শ চান তাহলে তাঁর কাছ থেকে ফি বাবদ ১৫৫ ডলার করে নেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রাইভেট কাউন্সেলিং প্যাকেজের জন্য নেওয়া হয় ১ হাজার ৪০০ ডলার।
এরইমধ্যে চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবো থেকে চুয়ানকুকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে তিনি এখন এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
লে চুয়ানকুর এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘ভালোবাসা আর টাকা দুটোই চাওয়ায় দোষ কী?’
আরেক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘তিনি মেয়েদেরকে পুরুষদের ব্যবহার করতে শেখান। তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতাকে উৎসাহিত করেন। কিন্তু তিনি কঠোর পরিশ্রম করে জীবিকা অর্জন করেন। এটা কি ভণ্ডামি নয়?’
//এল//