ঢাকা, বাংলাদেশ

সোমবার, , ২৮ এপ্রিল ২০২৫

English

জাতীয়

আইনজীবীদের অংশগ্রহণ ছাড়া বিচার ব্যবস্থার সংস্কার সম্ভব নয়

উইমেনআই প্রতিবেদকঃ

প্রকাশিত: ১০:৫৩, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

আইনজীবীদের অংশগ্রহণ ছাড়া বিচার ব্যবস্থার সংস্কার সম্ভব নয়

সংগৃহীত ছবি

আইনজীবীদের অংশগ্রহণ ছাড়া বিচার ব্যবস্থার সংস্কার সম্ভব নয় জানালেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবীরা। বিচার ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের দাখিলীয় সুপারিশসমূহ দ্রুত বাস্তবে পরিণত করার দাবি তুলেছেন তারা।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় আইনগত সহায়ত দিবসের প্রাক্কালে সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশন অডিটোরিয়ামে  ব্লাস্টের আয়োজনে “বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও জরুরী করণীয়: প্রসঙ্গ সুপ্রীম কোর্ট” আইনজীবীদের মতবিনিময়  সভায় অংশগ্রহণকারী আইনজীবীগণ এই দাবি জানিয়েছেন।
 আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র  আইনজীবী মোঃ মোশাররফ হোসেন ও এডভোকেট এস হাসানুল বান্না, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন, ড. কাজী জাহেদ ইকবাল,  ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য সচিব এডভোকেট এ এম জামিউল হক ফয়সাল।  আইনজীবীদের মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন ব্লাস্টের  ব্যরিস্টার সারা হোসেন।

    সভায় বক্তারা বিচার ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের দাখিলীয় প্রতিবেদনের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার আলোচনায় মামলার পদ্ধতিকে অনলাইনের মাধ্যমে সহজীকরণ, দুর্নীতিমুক্ত কোর্ট ব্যবস্থাপনা, প্রতিবন্ধী বান্ধব আদালত অবকাঠামো গঠন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি, আদালতের বেঞ্চ পুনর্গঠন নীতিমালা, দ্রুত রায় ও আদেশ প্রাপ্তির বিষয়গুলোর প্রতি আলোকপাত করেন।
 
সুপ্রীম কোর্ট প্রসঙ্গে মোট ৩৭ টি সুপারিশের মধ্যে ১৪ টি খুব স্বল্প সময়ে প্রশাসনিক উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে আলোচকগণ তুলে ধরেন। অনলাইনে মেনশন স্লীপ জমা নেয়া খুব সহজ পদক্ষেপ যা কার্যকর হলে আদালতের অনেক সময় বেঁচে যাবে। অপর একটি বিষয় হলো অনলাইনে রায় প্রদান করা। পরীক্ষামূলক ভাবে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু কোর্টে অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার প্রচলিত আছে সেহেতু বিচার প্রশাসনের যথাযথ উদ্যোগে খুব সহজেই বিচারিক প্রক্রিয়ায় সামগ্রিকভাবে অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার প্রচলন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়। ঘন ঘন বেঞ্চ পরিবর্তনের এবং পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে আইনজীবীরা নানান ধরনের জটিলতার সম্মুখীন হন। এক্ষেত্রে বেঞ্চ ভাঙ্গলেও নতুন যে বিচারক বেঞ্চে আসবেন তিনি আগের মামলা তালিকা অনুযায়ী বিচার কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন। 

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য সচিব এডভোকেট এ এম জামিউল হক ফয়সাল বলেন, ২০০০ সালে সরকার আইনগত সহায়তা ব্যবস্থা চালু করে এবং আইনে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ রাখা হয়। মামলার চাপ কমাতে আদালতকে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থায় উৎসাহিত করা প্রয়োজন। প্রযুক্তি ব্যবহারে ই-জুডিশিয়ারি ও ভার্চুয়াল কোর্ট প্রসারে মানসিকতার পরিবর্তনের ওপরও তিনি গুরুত্ব দেন। 

ড. কাজী জাহেদ ইকবাল বলেন, হাইকোর্টে জামিন প্রাপ্তির পর জেল হেফাজত হতে মুক্তি পাওয়া উক্ত ব্যক্তির আইনগত অধিকার, তাই উক্ত জামিন আদেশ স্থগিত না হওয়া পর্যন্ত কোন আইনজীবী (এডভোকেট অন রেকর্ড) সনদ পাঠিয়ে কোন ব্যক্তির জেল মুক্তি আটকিয়ে রাখা কোনভাবেই আইন সম্মত নয়।

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিম হোসাইন শাওন প্রতিবেদনের অনেক সুপারিশ এমন আছে যেগুলো স্বল্প সময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব এবং যার জন্য সংবিধান বা আইন পরিবর্তনও করতে হবে না, অথচ এখন পর্যন্ত একটি বিষয়েও উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নেয়া হয়নি তাই দ্রুত প্রশাসনিক উদ্যোগের মাধ্যমে এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সম্পাদক এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, বার কাউন্সিলের অভিযোগ গ্রহণ ও নিষ্পত্তিতে নিরপেক্ষতা ও কার্যকারিতার অভাব রয়েছে। অতীতের মতো এখনো শুনানির দিনেই আদেশ প্রস্তুত করার প্রচলন যেন চালু হয়। এফিডেভিট ও ওকালতনামা ব্যবহারে অনিয়ম এবং মামলার চাপে মূল আইন চর্চা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তাই এসব অব্যবস্থাপনা আদালত প্রাঙ্গণে স্বাভাবিক ব্যবস্থাপনা হয়ে গেছে যা পরিবর্তন প্রয়োজন। কার্যকর সংস্কারের জন্য কঠিন পদক্ষেপের পরিবর্তে সহজ ও বাস্তবমুখী পদ্ধতি গ্রহণের আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, বিচার বিভাগ সংস্কার করার আমাদের যে সুযোগ এসেছে তাকে কাজে লাগানো খুবই জরুরী। হাইকোর্টের বিচারাধীন মামলা স্থগিতাদেশ ছাড়া যদি স্থগিত করা না হয় তার জন্য অনুশীলন নির্দেশনা প্রদান করা উচিত।

অন্যান্য সুপারিশ, যেগুলো দৃঢ়ভাবে সমর্থিত হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল কমার্শিয়াল মধ্যস্থতার সুযোগ বৃদ্ধি করা, মামলার ই-ফাইলিং চালুকরণ, আইনজীবী সার্টিফিকেট গ্রহণের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতির চালু করা, আপিলে আদালতে ক্যবিয়েট ব্যবস্থাটি হাইকোর্টের ওকালাতনামা হতে আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করে সহজীকরণ করা, আদালতে অস্বাভাবিক ছুটি হ্রাস, এবং বিচারকদের বিচারিক দক্ষতা উন্নয়ন করার ব্যবস্থা করার বিষয়গুলো উঠে আসে। 


উল্লেখ্য যে, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন কাজ শুরু করে অক্টোবর ২০২৪ সালে এবং পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় ২০২৫ এর জানুয়ারীতে। ‍যেহেতু স্বল্প সময়ে প্রতিবেদন তৈরী করতে হয়েছে তাই অনলাইনের মাধ্যমে মতামত সংগ্রহ এবং সেসব মানবাধিকার সংগঠন আইন ও আদালত নিয়ে কাজ করে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। সুপারিশসমূহের সঠিক বাস্তবায়ন করা হলে অনেকগুলো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

//এল//

ছাত্রলীগ নেত্রী ঊর্মি ও তুরিন আফরোজ নতুন মামলায় গ্রেফতার

ভিয়েতনাম থেকে এলো ২০ হাজার টন চাল

‘ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর’

গণমাধ্যমসহ পাকিস্তানি ১৬ ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করল ভারত

তদন্ত সংস্থার হাতে হত্যার ভিডিও, শনাক্ত ২

ইরেশকে হেনস্তার শিকার হতে দেখে হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে: বাঁধন

নোয়াখালীতে  শহীদ রিজভীর ছোট ভাইকে কুপিয়ে জখম

জীবনের যেসব পরিস্থিতিতে চুপ থাকাই শ্রেয়

মে মাসেই শুরু হচ্ছে শেখ হাসিনার বিচার: প্রধান উপদেষ্টা

ছিনতাইয়ের শিকার সেই নারীর নাম-পরিচয় জানা গেছে

ফের কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের সেনাদের গোলাগুলি

উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেলেন তাসকিন

লামিয়ার ধর্ষণকারীদের বিচারের দাবি জানিয়েছে নারীপক্ষ

আইনজীবীদের অংশগ্রহণ ছাড়া বিচার ব্যবস্থার সংস্কার সম্ভব নয়

শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি: ড. ইউনূস