
ছবি সংগৃহীত
ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের হালদওয়ানি জেলায় একসঙ্গে ১৭০টি মাদরাসা বন্ধ করে দেয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের সাধারণ আলেম সমাজ।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তারা এ ঘটনাকে ‘সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদিতা ও ধর্মীয় বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ’ বলে অভিহিত করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতে মাদরাসা বন্ধের প্রক্রিয়াটি কেবল শিক্ষার ওপর আঘাত নয়; বরং এটি একটি ধর্মীয় জনগোষ্ঠীকে সাংস্কৃতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করার রাষ্ট্রীয় প্রয়াস। এটি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক এবং মুসলিম শিক্ষাব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে পেছনে ঠেলে দেয়ার উদ্যোগ।
আলেম সমাজের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘বাংলাদেশে যদি একসঙ্গে ১৭০টি মন্দির বন্ধ করা হতো এবং তা সরকারের শীর্ষ মহল ‘ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত’ হিসেবে বর্ণনা করতেন, তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতো। অথচ ভারতে দিনের পর দিন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মুসলিম নিপীড়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয় বন্ধের ঘটনা ঘটছে, যা উদ্বেগজনক হলেও যথাযথ জবাবদিহিতা নেই।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘এটি শুধু দ্বৈতনীতি নয়; বরং মুসলিম জাতিসত্তার বিরুদ্ধে একটি বিশ্বব্যাপী ন্যারেটিভ যুদ্ধ। মুসলিমদের নাগরিক অধিকার খর্ব করতে একের পর এক আইন পাশ হচ্ছে—নামাজ, হিজাব, ওয়াকফ সম্পদ এমনকি গরু নিয়েও মুসলমানদের টার্গেট করা হচ্ছে।’
আলেম সমাজের পক্ষ থেকে বিবেকবান মুসলিম, আলেম, চিন্তাবিদ ও সংগঠনসমূহকে এই ‘সাম্প্রদায়িক আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইউ