
ছবি সংগৃহীত
রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স কর্তৃপক্ষ তাদের দুই নারী শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন মোবাশ্বের আলী খন্দকার। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পারভেজের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছে।
সাময়িক বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থী হলেন: ফাতেমা তাহসিন ঐশী (আইডি: ২৪১০৫০০১৩), ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, ফারিয়া হক টিনা (আইডি: ২৪১০৪০০৪৮), ইংরেজি বিভাগ
প্রাথমিক তদন্তে এই দুই শিক্ষার্থীর ঘটনায় সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত পাওয়ায় তাদের ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। তদন্ত চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। তদন্তে দোষ প্রমাণিত হলে তাদের ছাত্রত্ব স্থায়ীভাবে বাতিলসহ প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত ১৯ এপ্রিল বিকেলে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডটার্ম পরীক্ষা শেষে পারভেজ ও তার বন্ধুরা ক্যাম্পাসের পাশে একটি দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রী ও তাদের সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী পারভেজদের হাসাহাসি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপর উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়, যা পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মীমাংসা করলেও, ঘটনার রেশ থেকে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বান্ধবীদের সামনে ‘ক্ষমতা’ দেখাতে অভিযুক্তরা পারভেজকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পারভেজের ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, পরিকল্পিত এ হত্যাকাণ্ডে কিশোর গ্যাং সদস্যসহ মোট ১৫-২০ জন জড়িত ছিল। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১ জনের নাম শনাক্ত করা হয়েছে। সোমবার ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যারা বর্তমানে ৭ দিনের রিমান্ডে রয়েছে।
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. রায়হানা বেগম জানান, নিহত পারভেজের পরিবারের পাশে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়। ঘটনার পরপরই পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ইউ