
সংগৃহীত ছবি
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী ‘বৈশাখী মেলা ১৪৩২’। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এবং বাংলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে এ মেলায় থাকছে নানান পণ্যের ৯৮টি স্টল, সঙ্গে সাংস্কৃতিক আয়োজনও।
সোমবার মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, সংস্কৃতিবিষয়ক সচিব মো. মফিদুর রহমান এবং বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
উদ্বোধনী বক্তব্যে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “আজ সারাদেশে বৈশাখের আনন্দে মানুষ একত্রিত হয়েছে। আমরা ফ্যাসিবাদ উত্তর একটি ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়েছি, সেই ঐক্য ও সংস্কৃতির বার্তাই পৌঁছে দিতে চাই ঘরে ঘরে। মেলার মাধ্যমে আমাদের হস্তশিল্প ও খাদ্যপণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছাবে।”
সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “বৈশাখী মেলা কেবল বাণিজ্যিক নয়, এটি সাংস্কৃতিক মিলনেরও জায়গা। আমরা ৫ আগস্ট পরবর্তী অন্তর্ভুক্তিমূলক ও রঙিন এক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছি—এ মেলা তার প্রতিফলন।”
বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, “পহেলা বৈশাখ কেবল উৎসব নয়, এটি আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির প্রতীক। এই মেলার মাধ্যমে আমরা অতীতের ঐতিহ্য এবং ভবিষ্যতের প্রত্যাশাকে একসাথে উদযাপন করি।”
শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান জানান, “মেলার মধ্য দিয়ে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে, তরুণদের জন্য তৈরি হবে কর্মসংস্থানের সুযোগ।”
সংস্কৃতিবিষয়ক সচিব মফিদুর রহমান বলেন, “এই মেলা ঢাকাসহ সারাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কৃতিচর্চার একটি উদাহরণ।”
উদ্বোধনের পর অতিথিরা স্টল ঘুরে দেখেন, উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার সূচনা ঘোষণা করেন।
মেলায় থাকছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, কুটির ও কারুশিল্প, খেলনা এবং নানা হস্তশিল্প পণ্য। পাশাপাশি বিনোদনের জন্য রয়েছে যাত্রা পালা, পুতুলনাচ, সার্কাস, নাগরদোলা সহ বিভিন্ন আয়োজন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে মেলা।
//এল//