
ছবি: উইমেনআই২৪ ডটকম
আজকের ছোট ছোট সোনামণিরা তোমাদের মুখে যে হাসি, চোখে যে স্বপ্ন তোমরাই তো এদেশের ভবিষ্যতের আলো। এই রঙিন দিনে তোমাদের সাথে থাকতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ শুধু একটা তারিখ নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি, ভালোবাসা আর আনন্দের প্রতীক। এই দিনটা তোমাদের মতোই উজ্জ্বল, রঙিন আর প্রাণবন্ত। শিশুদের উদ্দেশে বললেন উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। সোমবার (১৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ শিশু একাডেমী চত্বরে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে বর্ষবরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ একথা বলেন।
এছাড়াও ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এনডিসি ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর মহাপরিচালক দিলারা বেগম এবং শিশু একাডেমীর শিশু শিল্পীবৃন্দ ।
জাতীয় সংগীত এবং এসো হে বৈশাখ এসো এসো, মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা-কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা সভাপতি, বিশেষ অতিথি, অভিভাবকবৃন্দ এবং আদরের ছোট ছোট সোনামণিরা সবাইকে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, তোমরা জানো, পহেলা বৈশাখ মানে নতুন বছরের শুরু। আমরা পুরনো দুঃখ-কষ্ট ভুলে, নতুন আশা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করি। ঠিক যেমন তোমরা প্রতিদিন নতুন কিছু শেখো, ঠিক তেমনি তোমাদেরও প্রতিদিন ভালো কিছু করার চেষ্টা করা উচিত।
আমরা আজ যে স্বাধীন গণতান্ত্রিক এবং অগ্রসর রাষ্ট্রে বাস করছি তা একদিনে আসেনি উল্লেখ করে বলেন, এর পেছনে রয়েছে হাজারো মানুষের আত্মত্যাগ, লড়াই ও সংগ্রাম। এমনকি ২০২৪ সালে এসেও জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আমাদের অগণিত ছোট্ট ছোট্ট সোনামণি, অসংখ্য ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে আমরা পেয়েছি নতুন বাংলাদেশের নতুন বৈশাখের 'বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা'। এবারের বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রা আমাদের জাতীয় জীবনের বয়ে এনেছে নতুন উদ্দীপনা । এই নববর্ষ হোক জুলাই বিপ্লবের নবচেতনার উৎস, যেখান থেকে আমরা শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাবো বৈষম্যহীন উন্নত বাংলাদেশ গড়ার পথে।
আমাদের চাওয়া এই নববর্ষে সবাই মিলেমিশে থাকুক, হিংসা- বিদ্বেষ থেকে দূরে থাকুক, সামাজিক ঐক্য ও শৃঙ্খলা বজায় থাকুক। নতুন বছরের প্রথম দিনে প্রতিজ্ঞা হোক- আমরা দুর্নীতি , মাদক, সহিংসতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো। তোমাদের বলব- মন দিয়ে পড়াশোনা করো, মা-বাবার কথা শোনো, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মান করো এবং কখনো কাউকে কষ্ট দিও না। সবসময় সততা, দয়া আর বন্ধুত্বকে বড় করে দেখো । তাহলেই তোমরা বড় হয়ে এ দেশটাকে আরো সুন্দর করে গড়তে পারবে।
আজকের এই আয়োজনে- ছড়ায় ছড়ায় বৈশাখ, নাগরদোলা, পুঁথিপাঠ, গম্ভীরা, বাইস্কোপ, তৈলাক্ত কলাগাছে ওঠার প্রতিযোগিতা, সংগ্রাই উৎসবের পানি খেলা, নাচ, গান কবিতা সবই তোমাদের আনন্দের জন্য। মন খুলে উপভোগ করো, হাসো , গাও আর একে অপরকে ভালোবাসো। শুভ নববর্ষের এই দিনে তোমাদের জীবন হোক রঙে ভরা, আনন্দে ভরা এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা।
ইউ