
ছবি: উইমেনআই২৪ ডটকম
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে গাজায় চলমান সহিংসতা, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি নারী মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের একটি প্ল্যাটফর্ম।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “গাজায় যেভাবে নারী ও শিশুরা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তা অকল্পনীয়। হাজার বছরের ইতিহাসে গাজা আজ এক নির্মমতম অধ্যায়ে দাঁড়িয়ে। আন্তর্জাতিক মহলের, বিশেষ করে জাতিসংঘের নিরবতা এই গণহত্যাকে আরো দীর্ঘস্থায়ী করছে।” তিনি গাজায় সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন এবং সাম্প্রদায়িক, সাম্রাজ্যবাদী ও যুদ্ধবাজ শক্তির বিরুদ্ধে বিশ্বজনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি রেখা চৌধুরী।
শাহীন আনাম বলেন, ‘৭০ শতাংশ নিহতই নারী ও শিশু। মানবাধিকারের বড় বড় কথা বলা রাষ্ট্রগুলোর আজ কার্যকর কোনো অবস্থান দেখা যাচ্ছে না। এই নীরবতা মানবতার বিরুদ্ধে এক অশুভ বার্তা।’
রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, ‘গাজার যুদ্ধ থামাতে হলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসহ বিশ্বকে জাগতে হবে। পরাশক্তির সহায়তায় দখলদার বাহিনীর বর্বরতা থামাতে হবে।’
রেখা চৌধুরী প্রশ্ন রাখেন, “বিশ্ব বিবেক আজ কোথায়? ক্ষমতার প্রভাবে কি এভাবে মানুষ হত্যা চলতেই থাকবে?” তিনি যুদ্ধ থামিয়ে মানবতা রক্ষার জোর দাবি জানান।
মানববন্ধনে আরো সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন আইইডি-র তারিক হোসেন, নিজেরা করি-র সোহানা আহমেদ, এডাব-এর সমাপিকা হালদার, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের সেলিনা পারভীন, অ্যাকশনএইড-এর মৌসুমি বিশ্বাস, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের রুহুল আমিন প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের মেহেরুননেসা, দীপ্ত ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি এবং সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির বিভিন্ন সদস্য সংগঠনের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও কর্মকর্তাসহ শতাধিক অংশগ্রহণকারী।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের অ্যাডভোকেসি ও নেটওয়ার্কিং পরিচালক জনা গোস্বামী।
ইউ