
ছবি সংগৃহীত
ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে জাতীয় গ্রিডে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, যার ফলে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।
৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট নিয়ে গঠিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি ৮ এপ্রিল কারিগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে দ্বিতীয় ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও উৎপাদনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা পিজিসিবি এবং পিডিবির সূত্র জানায়, শনিবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় একটি ইউনিট চালুর সম্ভাবনা থাকলেও এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে সর্বোচ্চ ১,৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও ৮ এপ্রিলের পর থেকে সরবরাহ নেমে আসে ৭৫০ মেগাওয়াটে। এখন সেই সরবরাহও সম্পূর্ণ বন্ধ।
পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) মো. জহুরুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রের ত্রুটি দ্রুত মেরামতের কাজ চলছে এবং প্রথম ইউনিটটি চালু করার চেষ্টা করছে আদানি। পাশাপাশি ঘাটতি মোকাবেলায় দেশে তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে এবং পেট্রোবাংলার কাছে বাড়তি গ্যাস সরবরাহ চাওয়া হয়েছে।
শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা তুলনামূলক কম থাকলেও দুপুর ১টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ চাহিদা দাঁড়ায় ১৩,৫০০ মেগাওয়াট, যেখানে প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয়ের চুক্তি করে পিডিবি। গোড্ডায় নির্মিত ১,৬০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ২৫ বছর মেয়াদে বাংলাদেশে সরবরাহের চুক্তি রয়েছে। প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিলে এবং দ্বিতীয় ইউনিট চালু হয় একই বছরের জুনে।
তবে আদানির সঙ্গে চুক্তিটি ঘিরে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের একটি কমিটি চুক্তি পর্যালোচনার কাজ করছে।
ইউ