
সংগৃহীত ছবি
ভোরের আলো ফুটতে ফুটতে ভৈরবীতে রাগালাপ দিয়ে ছায়ানটের ১৪৩২ বঙ্গাব্দবরণের সূচনা হবে। ছায়ানটের এবারের বার্তা, আমার মুক্তি আলোয় আলোয়।
যথারীতি অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নতুন আলো, প্রকৃতি এবং মানুষকে ভালোবাসবার গান, দেশপ্রেম-মানবপ্রেম আর আত্মবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। সব মিলিয়ে বাঙালি সমাজকে নিয়ে আলোর পথে মুক্তির পথযাত্রী হবার আহ্বান।
আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) , বিকাল ৪টায় ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনের মিলনায়তনে রমনা উদ্যানে বর্ষবরণ ১৪৩২ উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা একথা বলেন।
বক্তারা বলেন, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২কে বরণ করবার সময় আসন্ন। ছায়ানট আয়োজিত বর্ষবরণের এবার ৫৮তম আয়োজন।
বিশ্বব্যাপী যেমন ক্ষয়ে চলেছে মানবতা, তেমনি এদেশেও ক্রমান্বয়ে অবক্ষয় ঘটছে মূল্যবোধের। তবুও আমরা আশাহত হই না, দিশা হারাইনা, স্বপ্ন দেখি হাতে হাত রেখে সকলে একসাথে মিলবার, চলবার। বাঙালি জাগবেই, সবাই মিলে সুন্দর দিন কাটানোর সময় ফিরবেই। সার্থক হবেই হবে, মানুষ-দেশ, এ পৃথিবীকে ভালবেসে চলবার মন্ত্র।
রমনা উদ্যান থেকে দুঘণ্টাব্যাপী এই আয়োজন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল (youtube.com/@chhayanautbd) ও ফেইসবুক পেইজে (facebook.com/chhayanautbd)। বিটিভিও সরাসরি সম্প্রচার করবে অনুষ্ঠান। এবারের অনুষ্ঠানসজ্জায় আমরা ৯টি সম্মেলক ও ১২ টি একক গান এবং ৩টি পাঠ অন্তর্ভুক্ত করেছি। সবমিলিয়ে দেড়শতাধিক শিল্পী এ আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন।
ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা বলেন, বরাবরের মতোই নতুন বাংলা বছরকে বরণ করার এই আয়োজন সুষ্ঠু রাখতে অক্লান্ত সেবা দিয়ে চলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর। ছায়ানট কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিরলস শ্রম দিয়ে চলেছেন স্বেচ্ছাসেবীরা, থার্টিনথ হুসার্স ওপেন রোভার গ্রুপের নির্বাচিত সদস্যরা। মঞ্চসহ সার্বিক সাজসজ্জার পরিকল্পনা করেছেন ছায়ানটের প্রাক্তনী সুজন চৌধুরী।
ছায়ানটের স্থির প্রত্যয়ের যাত্রায় আপনাদের সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
সকলের মঙ্গল হোক। বাঙালির জয় হোক।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডা. সারওয়ার আলী প্রমুখ।
//এল//