
ছবি সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের “আন্তর্জাতিক সাহসী নারী” পুরস্কার পেয়েছেন গত বছরের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী সাহসী নারী শিক্ষার্থীরা। মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারটির নাম ‘ম্যাডেলিন অলব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড’।
এটি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ের এক পর্বে জানানো হয়। এসময় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে তাদের, যারা সকলের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত নারীরা শান্তি, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়নের সমর্থক।
এদিনের সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎখাতে জীবন বাজি রেখে গণআন্দোলনে অংশ নেওয়া নারীদের কৃতিত্ব সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। সাংবাদিকের বক্তব্য ছিল, ‘বাংলাদেশি মেয়েরা এই পুরস্কার পাচ্ছেন এবং ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের আন্দোলনের জন্য সম্মানিত হচ্ছেন, এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?’
এর জবাবে ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘তারা আগামীকাল পুরস্কার পাচ্ছেন। তবে আমি আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কারের বিষয়ে আলোচনা করব। বাংলাদেশের রাজনীতির প্রকৃতি সম্পর্কে আমি কিছু অনুমান করব না।" তিনি আরও বলেন, "আমরা এখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের নেতৃত্বে ১৯তম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি।’
তিনি আরো জানান, ২০২৫ সালের অনুষ্ঠানে আটজন অসাধারণ নারীকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে এবং তারা ম্যাডেলিন অলব্রাইট অনারারি গ্রুপ আইডব্লিউওসি পুরস্কার প্রাপ্ত হবেন, যারা বিশ্বব্যাপী সবার জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়তে কাজ করছেন।
ট্যামি ব্রুস আরো বলেন, ‘মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আইডব্লিউওসি পুরস্কার বিশ্বজুড়ে সেইসব নারীদের স্বীকৃতি দেয়, যারা ব্যতিক্রমী সাহস, শক্তি এবং নেতৃত্ব প্রদর্শন করেছেন। তাদের প্রচেষ্টার ফলে তারা প্রায়শই তাদের নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের ব্যক্তিগত ঝুঁকির সম্মুখীন হন।’
এখন পর্যন্ত ২০০৭ সাল থেকে ৯০টি দেশের ২০০ নারীকেই এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
ইউ