
ফাইল ছবি
সচিবালয়ের সামনে বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস, মাতৃত্বকালীন ছুটির টাকা এবং সার্ভিস বেনিফিটসহ অন্যান্য পাওনা পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনরত গার্মেন্টস শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল থেকে এই সংঘর্ষ ঘটে জাতীয় প্রেসক্লাব ও সচিবালয়ের লিংক রোডের সামনে, যেখানে শ্রমিকরা শ্রম ভবন থেকে পুলিশ বাধা উপেক্ষা করে শ্রম মন্ত্রণালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের বাধা দেওয়ার জন্য সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ায় শেল নিক্ষেপ করলে শ্রমিকরা ইট-পাটকেল ছুঁড়ে পুলিশকে প্রতিরোধ করেন। এতে সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে সচিবালয়ের সামনে থেকে চলে যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সংঘর্ষের পর পল্টন মোড়, কদম ফোয়ারা এবং হাইকোর্ট মোড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
পুলিশ সদস্যদের আহত হওয়ার ব্যাপারে শাহবাগ থানার পেট্রোল ইন্সপেক্টর সরদার বুলবুল আহমেদ বলেন, "শ্রমিকদের হামলায় পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, তারা রাজারবাগ পুলিশলাইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ফজলে রাব্বি নামে এক সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।"
অন্যদিকে, গার্মেন্টস টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ জানান, "পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আমাদের ৩০-৩৫ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।"
তিনি আরও বলেন, "পুলিশ বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দীলিপ রায়কে আটক করলেও পরে তাকে ছেড়ে দিয়েছে।"
এছাড়া, আন্দোলনে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের মধ্যে টিএনজেড অ্যাপারেলস, অ্যাপারেল প্লাস ইকো লিমিটেড, রোর ফ্যাশন, স্টাইল ক্রাফট গার্মেন্টস এবং ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী ছিলেন।
উল্লেখ্য, গতকাল (২৪ মার্চ) সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত টিএন্ডজেড অ্যাপারেলস লিমিটেড ও অ্যাপারেল প্লাস ইকো লিমিটেডের শ্রমিকরা দ্বিতীয় দিনের মতো শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন। আজ (২৫ মার্চ) তারা তৃতীয় দিনের মতো তাদের দাবির পক্ষে আবারও আন্দোলন শুরু করেন।
ইউ