
সংগৃহীত ছবি
ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়ের ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যেই ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনের ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। স্টেশন ও প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের ভিড় তুলনামূলক কম। বেশির ভাগ ট্রেনের ভেতরে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় নেই।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল থেকেই প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো রয়েছে। সকাল থেকে প্রতিটি ট্রেনই ছেড়ে গেছে একেবারে সময়মতো। সারাদিনে মোট ৪৩টি আন্তঃনগর ট্রেন এবং ২৫টি মেইল ও কমিউটার ট্রেন ঢাকা স্টেশন ছেড়ে যাবে।
এদিকে, টিকিটবিহীন যাত্রী ঠেকাতে তিন স্তরে টিকিট যাচাই করা হচ্ছে। তাই ভিড় থাকলেও প্ল্যাটফর্মে অনেকটা স্বস্তিতে আছেন টিকিটধারী যাত্রীরা। খুব বেশি ঝামেলা ছাড়াই ভালোভাবে ট্রেনে উঠতেও পারছেন তারা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা রেলস্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন বলেন, ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। আরএনবি, রেলওয়ে পুলিশের কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে। সময়মতো ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীরা বাড়ি যেতে পারছেন।
তবে আগামীকাল ছুটির দিন হওয়ায় বিকেলে অফিস ছুটির পর বাড়তি পারে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা। সঙ্গে আজ অনলাইনে মিলছে ৪ এপ্রিলের ফিরতি টিকিট। আজ যারা যাত্রা করবেন, তাদের অগ্রীম আসনের টিকিট গত ১৫ মার্চ বিক্রি করে রেলওয়ে।
সাধারণ যাত্রীদের ঈদ যাত্রা নির্বঘ্ন করতে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়েছে— বিনা টিকিটের যাত্রী প্রতিরোধে ঢাকা, বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, খুলনাসহ সকল বড় বড় স্টেশনে জিআরপি, আরএনবি, বিজিবি ও স্থানীয় পুলিশ এবং র্যাবের সহযোগিতায় সার্বক্ষণিক প্রহরার ব্যবস্থা।
নাশকতা প্রতিরোধে চলন্ত ট্রেনে, স্টেশনে বা রেললাইনে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে আরএনবি, জিআরপি ও রেলওয়ে কর্মচারীদের কার্যক্রম আরও জোরদার। এ ছাড়া র্যাব, বিজিবি, স্থানীয় পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতায় নাশকতাকারীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।
স্টেশনে আসা রেহেনুমা বেগম বলেন, কয়েকদিন পরে ভিড় বাড়বে তাই আগেই চলে যাচ্ছি। ভিড়ের মধ্যে বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়া কষ্টকর। স্টেশনের পরিবেশ ভালো আছে।
আরেক যাত্রী বলেন, পড়ালেখা শেষ করে ঢাকায় চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রতিবছরই পরিবারের সঙ্গে ঈদ করি। এবারও বাড়িতে যাচ্ছি। ঢাকায় তেমন কাজ নেই, তাই আগেই চলে যাচ্ছি।
সার্বিক বিষয়ে ঢাকা রেলস্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন বলেন, ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। আরএনবি, রেলওয়ে পুলিশের কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে। সময়মতো ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীরা বাড়ি যেতে পারছেন।
টিকিটধারী যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে ঈদের আগে বুধবার (২৬ মার্চ) থেকে জয়দেবপুর স্টেশন থেকে ঢাকামুখী এবং ঢাকা স্টেশন থেকে জয়দেবপুরমুখী আন্তঃজোনাল আন্তঃনগর ট্রেনে কোনো টিকিট ইস্যু করা হবে না। জয়দেবপুরের পাশাপাশি বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ঢাকাগামী এবং ঢাকা স্টেশন হতে বিমানবন্দরগামী আন্তঃনগর ট্রেনে কোনো টিকিট ইস্যু করা হবে না। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে ঈদের ১০ দিন আগে এবং ঈদের পরের ১০ দিন পর্যন্ত ট্রেনে সেলুনকার সংযোজন করা হবে না।
//এল//