
ছবি: উইমেনআই২৪ ডটকম
নারী এবং জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যাল্প জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘৃণ্য উক্তি ও অপপ্রচার বন্ধে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ধারণা প্রসারে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
সোমবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে লরেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত আলোচনা সভায় এ সব কথা বলেন তারা। লরেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় ধারণাপত্র পাঠ করেন বিএনপিএস’র করিমুন্নেছা আকন্দ।
বিএনপিএস’র ঢাকা পশ্চিম কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তৃতা করেন একই কলেজের উপাধ্যক্ষ শিশির মন্ডল, মোহাম্মদিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার পরিচালক মাওলানা মো. আজমির শাহ, কচিকন্ঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী আশরাফ, দারুন নাজাত ইসলামিয়া মাদ্রাসা প্রধান শিক্ষক মাওলানা কাউসার আহমেদ, উন্নয়ন কর্মী মাহমুদা আকন্দ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে ধর্ষণ হত্যা নারীকে হেনস্থা যে পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে, তা থেকে বাঁচার জন্য সচেতনতা ও ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার কোন বিকল্প নেই। ধর্ষণ ও নির্যাতনের মত ঘটনা বেশি ঘটায় পুরুষরা। কাজেই তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। তারা আরো বলেন, আমরা মানুষ এটাই আমাদের প্রধান পরিচয়। আর নাগরিক হিসেবে আমাদের সবার অধিকার সমান। তাই আমাদের পরস্পর পরস্পরকে আপনজন ভাবতে হবে। তাহলে কোন বিবাদ থাকবে না। আমরা শান্তিতে থাকবো এবং দেশের উন্নয়ন হবে।
বক্তারা বলেন, সব ধর্মই শান্তি ও ন্যায়ের কথা বলে। তাই অন্যায় অবিচার থেকে নিজেদেরক মুক্ত রাখতে হবে। ধর্মীয় শাসন মানতে হবে। ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতে হবে। তাহলে সমাজে হানাহানি মারামারি খুন ও ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
সভায় লরেন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ এবং কচিকন্ঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকা, নারী দল, ইয়ুথ গ্রুপ এবং কমিউনিটি ফোরামের সদস্যরা অংশ নেন।
ইউ