
ফাইল ছবি
ঢাকার আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যার পর ৬ লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে।
রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের গণহত্যা মামলায় আশুলিয়ায় হত্যার পর ৬ লাশ পোড়ানোর ঘটনার মামলার তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এটি প্রথম কোনো মামলার তদন্ত যা সম্পন্ন হলো।’
তিনি জানান, ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের বিজয়ের দিন আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে অন্তত ৩১ জন নিহত হন। পরদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ১৫ জন মারা যান। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন দেড় হাজারের বেশি মানুষ, যাদের অনেকেই পঙ্গু হয়ে গেছেন। সাভার ও আশুলিয়ায় ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে মারা যায় অন্তত ৭৫ জন।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায়, গুলিবিদ্ধদের লাশ পোড়ানোর দৃশ্য। ভিডিওতে পুলিশ সদস্যদের লাশ ভ্যানে নিক্ষেপ করতে দেখা যায় এবং পরে সেগুলো থানার সামনে নিয়ে গিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
লাশ পোড়ানোর ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ দুটি অভিন্ন হওয়ায় একটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। গত ২৪ ডিসেম্বর স্থানীয় সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সাইফুল ইসলাম পলাতক থাকলেও ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, সাবেক অতিরিক্ত সুপার মো. শাহিদুল ইসলাম, তৎকালীন ওসি এ এফ এম সায়েদ, ডিবি পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক এবং কনস্টেবল মুকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইউ