
ছবি সংগৃহীত
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন অনলাইন পোর্টাল সম্পর্কিত নীতিমালায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে। শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে কমিশন একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে সাত দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়, যার মধ্যে অন্যতম ছিল আইপিটিভি ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদ বুলেটিন সম্প্রচারের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বাতিল করার প্রস্তাব।
কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ প্রতিবেদনটি জমা দেওয়ার সময় জানান, অনলাইন পোর্টাল নিয়ে এই সুপারিশগুলি একটি কার্যকরী এবং স্বচ্ছ গণমাধ্যমের প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাত দফা সুপারিশের মধ্যে রয়েছে:
১. অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধন নীতিমালা হালনাগাদ: এই নিবন্ধনের দায়িত্ব ও ক্ষমতা সরকারিভাবে গঠিত স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশনের ওপর ন্যস্ত করার প্রস্তাব।
২. অনলাইন পোর্টালের নিবন্ধন পর্যালোচনা: অতীতে নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালগুলোর স্বচ্ছতা এবং নীতির অভাবের কারণে তা পর্যালোচনা করতে হবে।
৩. নিরাপত্তা সংস্থার তদন্ত ব্যবস্থার অবসান: পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য পুলিশ তদন্ত ব্যবস্থার যথেষ্ট হতে হবে, নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর অতিরিক্ত তদন্তের প্রয়োজন নেই।
৪. বার্ষিক নবায়ন পদ্ধতি বাতিল: অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধনের পর তার বার্ষিক নবায়ন প্রক্রিয়া বাতিল করার প্রস্তাব।
৫. সংবাদ বুলেটিন সম্প্রচারের নিষেধাজ্ঞা বাতিল: আইপিটিভি এবং অনলাইন পোর্টালে সংবাদ বুলেটিন সম্প্রচার করতে নিষেধাজ্ঞার অবসান হওয়া উচিত।
৬. সরকারি বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপনা: অনলাইন পোর্টালগুলোর জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে স্বচ্ছ ও ন্যায্যতার সাথে সরকারি বিজ্ঞাপন ব্যবস্থার প্রস্তাব।
৭. ট্রেড লাইসেন্স ফি: অনলাইন পোর্টালগুলোর জন্য ট্রেড লাইসেন্স ফি সাধারণ ট্রেড লাইসেন্সের থেকে অনেক বেশি হওয়া উচিৎ নয়। এই অতিরিক্ত ফি অপসারণের প্রস্তাব।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের গঠন হয়েছিল গত ১৮ নভেম্বর ২০২৪, সরকারের ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিশনটি স্বাধীন এবং শক্তিশালী গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে।
ইউ