
ফাইল ছবি
ডিবির চিকিৎসাধীন ‘আসামি’ হেজাজের গ্রেফতার এবং মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে অনতিবিলম্বে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠূ তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
সোমবার (১৭ মার্চ) এক বিবৃতিতে ডিবির চিকিৎসাধীন ‘আসামি’ গ্রেফতার এবং মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ, নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১৫ মার্চ রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় হেজাজ বিন আলম ওরফে এজাজ (৩৪) কে ধানমন্ডির জিগাতলার জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে একই দিনে সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। হেজাজের মৃত্যুর বিষয়ে তার পরিবার দাবি করেছে, জামিনে থাকা সত্ত্বেও ডিবি পুলিশ হাসপাতাল থেকে তাঁদের ছেলেকে ধরে নিয়ে যায় এবং তাদের হেফাজতেই হেজাজের মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে ডিবি হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘এজাজ ডিবি হেফাজতে মারা যায়নি। কিছু দিন আগে গ্রেফতারের পর জামিনে বের হয় এজাজ। এরপর থেকে তিনি ধানমন্ডির জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে রেফার করেন। শনিবার ভোররাত ৪টা ৪০ মিনিটে তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যান এজাজ। যেহেতু তাঁর নামে মামলা রয়েছে, তাই ঢামেক হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ উপস্থিত ছিল। পুলিশ হেফাজতে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির মৃত্যু একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এমএসএফ মনে করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) আরও মনে করে, পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগের বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি রাখে কারণ রাষ্ট্রীয় হেফাজতে থাকা অবস্থায় মৃত্যু জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক করে। রাষ্ট্রীয় হেফাজতে থাকা যে কোনো ব্যক্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করা পুলিশের আইনি দায়িত্ব।
ইউ