ঢাকা, বাংলাদেশ

শুক্রবার, , ১৪ মার্চ ২০২৫

English

জাতীয়

‘সংলাপের মাধ্যমে ক্ষোভ প্রশমনের প্রচেষ্টা চালানোর আহবান’ 

উইমেনআই প্রতিবেদকঃ

প্রকাশিত: ২০:১৫, ১৪ মার্চ ২০২৫

‘সংলাপের মাধ্যমে ক্ষোভ প্রশমনের প্রচেষ্টা চালানোর আহবান’ 

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশে ধারাবাহিকভাবে নারী ও মেয়ে শিশু ধর্ষণ এবং যৌন হয়রানির ঘটনায় কয়েকটি দাবি জানিয়েছে। সে সঙ্গে গভীর উদ্বেগ এবং দমন-নিপীড়ন নয়, সংলাপের মাধ্যমে ক্ষোভ প্রশমনের প্রচেষ্টা চালানোর আহবান জানিয়েছে
 হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)। 

আজ শুক্রবার (১৪ মাচ) এক বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি) এ আহবান জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়,   নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে ঢাকায় কর্মসূচী পালনকালে পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের ওপর বলপ্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে এবং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে, যেখানে নারীরাও রয়েছেন, পুলিশের পক্ষ থেকে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।  
এসব ঘটনার সুষ্ঠু ও যথাযথ তদন্ত, বিচার এবং ভুক্তভোগীর সুরক্ষা ও পুনর্বাসন নিশ্চিতে দ্রুততার সাথে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, একইসাথে, যেকোন প্রতিবাদ কর্মসূচি সংলাপের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের ওপর জোর দিচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে তিন বছর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মেয়ে শিশু ও নারী ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও হেনস্তার ঘটনাগুলো আবারো সুষ্পষ্ট করে তুলেছে। যে জনপরিসর, অনলাইন থেকে পারিবারিক মণ্ডল- কোথাও মেয়ে শিশু বা নারীরা নিরাপদ নয়। নারীর স্বাধীনতা, চলাফেরার অধিকার, মতপ্রকাশ, পছন্দ বা নির্বাচন করার অধিকার তথা নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়ন সংকুচিত করার একটা অপচেষ্টাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যা মারাত্বক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার উদ্রেগ করেছে। মেয়ে শিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা একটি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এবং যৌন সহিংসতার প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের দ্বারা যৌন নির্যাতনের বিষয়ে নীরবতার সংস্কৃতি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সংবেদনশীলতা ও জবাবদিহিতার অভাব, বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগের অনুপস্থিতি এবং বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা নারীর প্রতি সহিংসতাকে স্থায়ীত্ব প্রদান করছে।
এরূপ পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ নামের প্ল্যাটফর্ম থেকে গত ১১ মার্চ ২০২৫ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালন করার  এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য অনুযায়ী, শান্তিপূর্ণ ওই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। অন্যদিকে, পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে এবং কর্তব্যরত পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে করা মামলায় আসামি হিসেবে ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফেডারেশনসহ বামপন্থী কয়েকটি ছাত্রসংগঠনের ১২ জন নেতা–কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে তিনজন নারীকর্মী রয়েছেন। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
 এ প্রেক্ষাপটে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি) সরকারের কাছে কয়েকটি  দাবি তুলে ধরে।
যে কোন শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বলপ্রয়োগ করার প্রবণতা পরিহার করে নাগরিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা। পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে করা মামলা প্রত্যাহার করা এবং সংশ্লিষ্টদের কোনোভাবে হয়রানি না করা। শক্তিপ্রয়োগ না করে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাতের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ প্রদান করা।
 ধর্ষণের বিরুদ্ধে সরকার ঘোষিত ‘শূন্য সহনশীলতা নীতি’ অব্যাহত রাখা এবং মাঠ পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে এ নির্দেশনা পৌঁছে দেয়া।   নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিটি ঘটনার দ্রুততার সাথে সুষ্ঠু তদন্ত, বিচার, ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা।

ধর্ষণ বা যৌন হয়রানির শিকার নারীদের পুনর্বাসন এবং মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা।
   বিদ্যমান আইন যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তার সার্বক্ষণিক পরীবিক্ষণ নিশ্চিত করা এবং সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। ধর্ষণ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া পরীবিক্ষণ সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা।
ভুক্তভোগী ও সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে দ্রুততার সাথে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।    যৌন হয়রানি প্রতিরোধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। অনলাইন ও অফলাইন সর্বক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি সমন্বিত আইন প্রণয়ন করা।
 ধর্ষণের ভুক্তভোগী কিংবা সাইবার হয়রানির ভুক্তভোগী নারী ও শিশুদের গোপনীয়তা রক্ষা করে এবং অনলাইনে ব্যক্তিগত পরিচয় কিংবা সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশিত না হয় সে বিষয়ে আইনি বিধান যোগ করা।
স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী এবং পুরুষদের মধ্যে সমতার ধারণা প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষ সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা।

 

//এল//

রোহিঙ্গাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব করবে জাতিসংঘ: গুতেরেস

একনজরে দেখে নিন আইপিএলের ১০ দলের অধিনায়ক

‘প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে’

‘সংলাপের মাধ্যমে ক্ষোভ প্রশমনের প্রচেষ্টা চালানোর আহবান’ 

বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তা রোহিঙ্গা সংকটকে আরও গভীর করবে

‘সংস্কার সংক্ষিপ্ত হলে নির্বাচন ডিসেম্বরে, বৃহত্তর হলে জুনে’

রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করলেন ড. ইউনূস ও গুতেরেস

ক্ষোভে ফুঁসছে মাগুরাবাসী, ধর্ষকের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিলো জনতা

বাবা-মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত আরেফিন সিদ্দিক

এবার ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ

দেড় ঘণ্টা পর মহাসড়ক ছাড়লেন শ্রমিকরা

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে জাতিসংঘ পাশে থাকবে: গুতেরেস

সবজিতে স্বস্তি থাকলেও চালে অস্বস্তি

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

পরিবেশের ক্ষতি কমিয়ে পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করা