
ছবি সংগৃহীত
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, ধর্ষণ মামলার আইন সংশোধনে খসড়া প্রস্তুত হয়েছে এবং এটি দু-এক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে।
বুধবার (১২ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই তথ্য জানান।
এর আগে, সচিবালয়ে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন আসিফ নজরুল। বৈঠকে ২৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিল। আইন উপদেষ্টা জানান, সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সম্পর্কে সরকারের পদক্ষেপ এবং আইনটি দ্রুত কঠোর করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘গত দুদিন ধরে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে পরামর্শ সভা করা হয়েছে এবং খসড়াটি কিছু স্টেকহোল্ডারের কাছে সার্কুলেট করা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব, আমরা আইনটি কঠোর করব যাতে ধর্ষণের মামলার বিচার শুধু দ্রুতই না, বরং যথাযথভাবে নিশ্চিত হয়।’
বৈঠক শেষে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের প্রতিনিধিরা তাদের পাঁচটি দাবি তুলে ধরেন। তাদের মতে, এসব দাবি বাস্তবায়ন হলে ধর্ষণের ঘটনা কমে আসবে। মাগুরার ধর্ষণ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের দাবি:
১. আছিয়ার মামলার দ্রুত বিচার: আছিয়ার মামলায় ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা এবং ১ মাসের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সর্বোচ্চ শাস্তি, অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে। বিচার চলাকালীন আছিয়ার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
২. ধর্ষণ মামলার দ্রুত বিচার: প্রতিটি ধর্ষণ মামলার বিচারে ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
৩. জবাবদিহি: নারী ও শিশুর নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, এবং নারী ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টার ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে জবাবদিহি করতে হবে।
৪. বিশেষ সেল গঠন: সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে ‘নারী ও শিশু নিপীড়নবিরোধী সেল’ গঠন এবং সেলের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. আইনের সংশোধন: ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন এবং সাইবার বুলিং সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে অপরাধের স্পষ্ট এবং যথাযথ সংজ্ঞায়ন করতে হবে।
এই প্রস্তাবিত আইন সংশোধনের মাধ্যমে সরকারের ধর্ষণবিরোধী পদক্ষেপকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ইউ