
ছবি সংগৃহীত
দেশের বিভিন্ন স্থানে খাবারের দোকান খোলা রাখতে বাধা প্রদানের ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)- উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বুধবার (৫ মার্চ) এই উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতি দিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে রমজানের ‘পবিত্রতা’ রক্ষায় দিনের বেলায় খাবারের দোকান খোলা রাখার বিষয়ে একটি গোষ্ঠী কর্তৃক অযাচিত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। দোকান মালিকরা নিরাপত্তার কথা ভেবে ঐসব জায়গায় দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন অসুস্থ ব্যক্তি, শিশু, দিনমজুর ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা। উল্লেখ্য, রমজান শুরুর আগেই ‘সম্মিলিত মুসলিম জনতা’ ব্যানারে রমজান মাসে দিনের বেলায় খাবারের দোকান বন্ধ রাখার দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় মিছিল সমাবেশ করে। এ ছাড়াও ধর্মভিত্তিক একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা এক বিবৃতিতে ‘দিনের বেলা হোটেল, রেস্তোরা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান।’
আমরা লক্ষ্য করছি, এ ধরনের মিছিল ও আহবানের পরপরই ঢাকাসহ দেশের অনেক জায়গায় খাবারের দোকানগুলো বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে।
পবিত্র রমজান মাস পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি ও সহমর্মিতা প্রদর্শনের মাস। কাজেই খাবারের দোকান বন্ধ রাখা কিংবা খাবারের মত অতি মৌলিক বিষয়টিতে অযাচিত হস্তক্ষেপ কিংবা জোরপূর্বক খাবারের দোকান বন্ধ রাখার আহবান অথবা অনুরোধ কোনটাই কাম্য নয়। আমাদের মনে রাখতে হবে, নারী, শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ও দিনমজুর এবং অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য খাবারের দোকান বন্ধ রাখাটা অনেক সময় সংকট সৃষ্টি করছে। কাজেই অবিবেচনাসুলভ এবং বাস্তবতাবিবর্জিত আহবান সমাজে শুধু বিভেদই সৃষ্টি করছে না বরং সমাজে মানুষের মৌলিক অধিকার হরনের চেষ্টা লক্ষ করা যাচ্ছে। এ ধরনের বেআইনি আহবান এবং কোথাও কোথাও জোরপূর্বক খাবারের দোকান বন্ধ রাখার বিষয়ে অতি উৎসাহী ব্যক্তিদের নিবৃত রাখতে সরকার সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আহবান জানিয়েছে আসক।
ইউ