
ফাইল ছবি
ভারতের মণিপুরে মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায়একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
বুধবার (৫ মার্চ) এই ভূমিকম্পের প্রভাব বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষ করে ঢাকা এবং সিলেটে, স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময় ১১টা ৩৬ মিনিটে এই ভূমিকম্পটি ঘটে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ৫.৬ হিসেবে রিপোর্ট করেছে।
ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল মণিপুরের ইয়াইরিপক শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার পূর্বে এবং এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। সাধারণত, অল্প গভীরতায় সৃষ্ট ভূমিকম্পগুলি বেশি ক্ষতিকর হতে পারে, তবে প্রাথমিকভাবে এদিনের ভূমিকম্পে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ বিভাগের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, এটি একটি মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প ছিল। উৎপত্তিস্থল মিয়ানমার-ভারত সীমান্তে হওয়ায় ঢাকার প্রায় ৪৪৯ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়, তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইনও জানিয়েছেন, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে। যদিও এ ভূমিকম্পের কারণে কোনো ক্ষতির খবর মেলেনি।
এর আগে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত ২টা ৫৫ মিনিটে বাংলাদেশের বিভিন্ন অংশে, বিশেষ করে সিলেটে, একটি মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। তখন রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫.৩, এবং এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসামের ভুরাগাঁওয়ে।
এবং এ ভূমিকম্পটিরও প্রভাব বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভূটান এবং চীনসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে অনুভূত হয়েছিল।
ইউ