![সারাদেশে হামলা, নৈরাজ্য এবং সরকারের নিষ্ক্রিয়তার নিন্দা সারাদেশে হামলা, নৈরাজ্য এবং সরকারের নিষ্ক্রিয়তার নিন্দা](https://www.womeneye24.com/media/imgAll/2022July/gono-odikar-2502131421.jpg)
সংগৃহীত ছবি
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাম্প্রতিক ৫টি ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়।
সভা থেকে সম্প্রতি শাহবাগে শিক্ষকদের উপর বর্বরোচিত পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়। আগাগোড়া সংস্কার ছাড়া পুলিশের আচরণের যে কোন পরিবর্তন সম্ভব নয় সে বিষয়ে সাধারণ সভায় ঐকমত্য হয়।
বইমেলায় যেভাবে আগাম ঘোষণা দিয়ে প্রকাশনীর উপর হামলা করা হচ্ছে, পুলিশের উপস্থিতিতে মাস্তানি দেখানো হচ্ছে, এবং সরকার যে এই গোষ্ঠীকে কোনরকম নিয়ন্ত্রণ করছে না তার তীব্র সমালোচনা হয় সভায়।
এখনো নানান প্রকাশনীর উপর যেভাবে খবরদারি করা হচ্ছে সেটা যদি এভাবে অব্যাহত চলতে থাকে তাহলে হাসিনার আমলের সাথে এই সরকারের পার্থক্য কীভাবে তৈরী হবে? কমিটি বইমেলার এসব ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানায় এবং সরকারের পক্ষ থেকে তড়িৎ পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানায়।
প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন কয়েকটি মিডিয়া নিয়ে। শেষ পর্যন্ত যে সরকার কিছু ভিকটিম এবং অল্প মিডিয়া সহযোগে হলেও আয়নাঘর পরিদর্শন করতে পেরেছে সেজন্য কমিটি সরকারকে অভিনন্দন জানায়। কিন্তু কমিটি সেই সাথে এটাও সরকারকে মনে করিয়ে দিতে চায় যে আয়নাঘরের আলামত যারা নষ্ট করেছে তাদের বিরুদ্ধেও সরকারকে অবস্থান নিতে হবে। শুধু তাই নয় দেশের সকল গোপন আয়নাঘরকে উন্মুক্ত করার দাবি জানায় গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। এবং যেসব বাহিনীর কার্যালয়ে এসব আয়নাঘর ছিল সেইসব গুমের সাথে জড়িত বাহিনীকে বিলুপ্ত করার দাবিও জানায় কমিটি।
কমিটি দেখতে পাচ্ছে হাসিনার আমলে ফ্যাসিবাদের অন্যতম সহযোগী হেফাজতে ইসলামের হুমকিতে টাঙ্গাইলে লালন স্মরণ অনুষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। যারা শেখ হাসিনাকে কওমী জননী উপাধি দিয়েছিলেন, যারা মালিকপক্ষকে বাঁচাতে রানা প্লাজার এত বড় কাঠামোগত হত্যাকাণ্ডকে অভিহিত করেছিলেন আল্লাহর গজব বলে তাদেরকে সরকার কীভাবে গণঅভ্যুত্থানের সহযোগী শক্তি মনে করে সেটা কমিটি জানতে চায়। কমিটি মনে করে সরকারের উচিৎ অবিলম্বে লালনের স্মরণে যে অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে সেটিকে পুনরায় আয়োজনের ব্যবস্থা করা।এবং এসব মাস্তানি করছে যারা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়া।
আমরা আরও দেখতে পাচ্ছি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষ নানান স্বীকৃত দেশবরেণ্য ব্যক্তিদের নামে থাকা নানান ভবনের নাম পরিবর্তন করার ঘোষণা দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে সত্যেন বসু, জগদীশ চন্দ্র বসু, জীবনানন্দ দাশ, লালন শাহ, প্রফুল্লচন্দ্র রায়, শহীদ বুদ্ধিজীবীদে মতো ব্যক্তিরা। আমরা মনে করি এইসব দেশবরেণ্য বিজ্ঞানী, কবি ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নামে থাকা ভবনের নাম পরিবর্তন করতে পারে একমাত্র তারাই যারা চরম সাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যাকারীদের অনুরূপ দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করেন। কমিটি এরও তীব্র নিন্দা জানায়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আনু মুহাম্মদ, ডা হারুন অর রশিদ, ড. মোশাহিদা সুলতানা, ড. সামিনা লুৎফা, ড. মাহা মির্জা, আকরাম খান, ডা. জয়দীপ ভট্টাচার্য, সীমা দত্ত, ফখরুদ্দিন কবির আতিক, আনিস রায়হান, মাহতাব উদ্দীন আহমেদ, আফজাল হোসেন প্রমুখ। -বিজ্ঞপ্তি
//এল//