
সংগৃহীত ছবি
ড. মনিরুজ্জামান ছিলেন আধুনিক চিন্তাধারার অধিকারী বিজ্ঞানমনস্ক একজন মানুষ। গবেষণার মাধ্যমে তিনি বাংলা উপভাষার উচ্চারণগত, ব্যাকরণগত এবং শব্দগত বৈচিত্র্য তুলে ধরেছেন। ভাষা গবেষণায় তিনি আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। তিনি উপভাষার অভ্যন্তরীণ রূপটি আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন এবং উপভাষাকে উদার দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার বিকেল ৪টায় অমর একুশে বইমেলার ১০ দিনে বইমেলার মূলমঞ্চে ‘ড. মনিরুজ্জামানের সময়রেখা : ভাষাবিজ্ঞানের ত্রিকালদর্শী পরিব্রাজক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে সালমা নাসরীন এবং মামুন অর রশীদ আলোচকদ্বয় একথা বলেন।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাশরুর ইমতিয়াজ। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মনসুর মুসা।
প্রাবন্ধিক মাশরুর ইমতিয়াজ বলেন, ড. মনিরুজ্জামান ভাষাবিজ্ঞানের দুরূহ পথে কেবল সরলরৈখিকভাবেই পরিভ্রমণ করেননি, বরং নজর দিয়েছেন অতীতের ভাষিক নিরীক্ষায় এবং ভবিষ্যতের ভাষা—গবেষণার সুলুক সন্ধানে। প্রতিভার মৌলিকত্বে তিনি তাঁর স্বকীয় অবস্থান নিশ্চিত করেছেন। ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ে গভীর পাণ্ডিত্য এবং উপভাষা গবেষণায় অসামান্য অবদানের কারণে ভাষাবিজ্ঞানের জগতে যেমন তাঁর অবিস্মরণীয় খ্যাতি রয়েছে, তেমনি সুসাহিত্যিক ও সাহিত্য—বিশ্লেষক হিসেবেও বাংলা সাহিত্যজগতে তাঁর নাম সুবিদিত। তিনি বাংলাদেশে অনুসৃত ভাষাবিজ্ঞানের যাবতীয় ধারাসমূহের বিন্যাস করেছেন, একইসঙ্গে তাঁর রচনায় তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বের বিকাশমানতার ধারা প্রতিভাত হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মুনসুর মুসা বলেন, ড. মনিরুজ্জামান শৈশবকাল থেকেই বিভিন্ন উপভাষার সংস্পর্শে এসেছিলেন এবং একজন গবেষক হিসেবে ভাষাবিজ্ঞানের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাঁর মূল্যবান গবেষণা ভবিষ্যতের গবেষকদের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা জোগাবে।
লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন- কুদরত—ই—হুদা এবং হিজল জোবায়ের।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আজ ছিল মোঃ আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘আরশিনগর বাউল সংঘ’, সানজিদা আহমেদ লাবণ্যের পরিচালনায় নৃত্যসংগঠন ‘নৃত্য সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং মজিবুর রহমান বিরোহীর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বিরোহী শিল্পীগোষ্ঠী’—এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী আব্দুল লতিফ শাহ, বাউল সুভাষ বিশ্বাস, আবুল কালাম আজাদ, সাধিকা সৃজনী তানিয়া, এলাহী মাসুদ, কাজী দেলোয়ার হোসেন, এ টি এম গোলাম মোস্তফা, পিয়াল হাসান এবং শামিমা সুলতানা। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন প্রিয়ব্রত চৌধুরী (তবলা), শাহীনুর রহমান (কী—বোর্ড), মো. ফায়জুর রহমান (বাঁশি), সুমন কুমার শীল (দোতারা) এবং হাসান মিয়া (বাংলা ঢোল)।
মেলা শুরু হয় বিকেল ৩টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। আজ নতুন বই এসেছে ৮৪টি।
//এল//