সংগৃহীত ছবি
গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনে বদলাতে হবে নিয়োগ পদ্ধতি , আইনকানুন পরিবর্তন করতে হবে। যারা অন্যায় করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমাদের বর্তমান সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমতে পৌছাতে পারবে। নির্বাচন সংক্রান্ত আইনগুলো অধ্যাদেশ আকারে জারি করে কার্যক্রম শুরু করা যায় তত দ্রুত নির্বাচন হবে বললেন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯ টায় বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ইন্টারর্ন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)-এর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কারের অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে ধারাবাহিক আয়োজনে ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপঃ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান প্রসঙ্গ’ শীর্ষক আলোচনায় ড. বদিউল আলম মজুমদার একথা বলেন ।
সংলাপে আলোচকের মধ্যে ছিলেন; সুজন সম্পাদক এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান, ড. বদিউল আলম মজুমদার; জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এর সাবেক চেয়ারম্যান, ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ; সাবেক কূটনৈতিক, এম্বাসেডর এম শফিউল্লাহ; অর্থনীতিবিদ ও সিপিডির নির্বাহী পরিচালক, ড. ফাহমিদা খাতুন; সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)-এর চেয়ার মুনিরা খান; উপদেষ্টা, বিএনপি চেয়ারপার্সন, জহির উদ্দিন স্বপন, সাবেক জজ, কলামিস্ট ও আইনি পরামর্শদাতা, ইকতেদার আহমেদ; বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সভাপতি, আব্দুল হক; গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী; সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ; রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি মেম্বার, ড. জাহেদ উর রহমান; ইষ্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক, পারভেজ করিম আব্বাসী; সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল; সিনিয়র সাংবাদিক আবু সাঈদ খান; এবি পার্টির চেয়ারম্যান, মজিবুর রহমান মঞ্জু; গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি; জৈষ্ঠ সাংবাদিক এম এ আজিজ; যুগ্ম–সম্পাদক, প্রথম আলো, সোহরাব হাসান; পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য, কে এস মং; ছাত্র প্রতিনিধি, মুনমুন মাহজাবিন এবং মুহাম্মদ খালিদ খান। সংলাপটি পরিচালনা করেন সিজিএস-এর নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা সংসদে ১০০ টি আসন সংরক্ষিত নারীদের জন্য বরাদ্দ করার প্রস্তাবনা দিয়েছি। যেন নারীরা বৈষম্যের শিকার না হয়। নারীরা যদি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকে তাহলে বৈষম্য কমে আসবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে যেভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তা ত্রুটিপূর্ণ। এই জন্যই নিয়মকানুন ও সংস্কার দরকার ও নতুন আইনের খসড়া দরকার। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন হওয়ার কথা কিন্তু আমার কাছে মনে হয় এটি নির্বাহী বিভাগের আজ্ঞাবহ একটি প্রতিষ্ঠান।
সংলাপের শুরুতে জিল্লুর রহমান বলেন, সংস্কার শব্দটি ঘৃণিত শব্দে পরিণত হয়েছে। সংস্কার জরুরি। সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। বাংলাদেশ গত ৫৩ বছরে প্রতিষ্ঠানকে ঠিক করতে পারি নি। আমাদের আগে নজর দিতে হবে সঠিক ব্যবস্থা করার। নেতা ভুল করতে পারে কিন্তু সিস্টেম ঠিক থাকলে শুধরাবার সুযোগ থাকে।
ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, আমরা স্ব-বিরোধিতায় সংকোচিত হচ্ছি। স্ব-বিরোধিতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সংবিধানের আওতায় জনগণের সব জানার অধিকার আছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ নিয়মতান্ত্রিক হতে হবে। রাষ্ট্র ও সরকারের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করতে হবে। ন্যায়পাল প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এম্বাসেডর এম শফিউল্লাহ বলেন, বিগত বছরে আমরা দেখেছি যে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে নিয়োগ দিয়ে থাকে। রাষ্ট্রপতিকে জনগণ নিয়োগ দিবে। তাহলে রাষ্ট্রপতিকে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হবে। বর্তমানে কোন দলের ম্যান্ডেট নেই। সঠিক ও সুষ্ঠু নির্বাচন আমাদের দরকার বিশ্বে পরিচিতি পেতে।
ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে। জুলাই - আগস্ট আন্দোলন হয়েছে অর্থনীতির জন্য, চাকরীর জন্য। সংস্কার করে পরে ক্ষমতা হস্তান্তর করা সম্ভব নয়। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের মধ্যে স্বস্তি আনতে হবে। আমাদের বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিবেশ নেই। বছরের পর বছর অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো নষ্ট করে দিয়েছে। এত সংস্কার করার পর নির্বাচিত সরকার যদি তা না মেনে নেয় তাহলে জনগণ আবার অসহায় হয়ে পরবে। আমদের তথ্যের অভাব রয়েছে। বিভিন্ন চুক্তির তথ্য আমরা জানি না। বর্তমান সরকার যদি উন্নতি না দেখাতে পারে তাহলে তাদেরকে ব্যর্থতা নিয়ে চলে যেতে হবে।
মুনিরা খান বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে মানিবাধিকার, দুর্নীতি দমন ও আইনের শাসন নিয়ে আরও আলোচনা দরকার। আমাদের কমিশনগুলোর ভিশনগুলো স্বচ্ছ হতে হবে জনগণের কাছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে আরও আলোচনা করতে হবে।
জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন বা সামগ্রিক পুনর্গঠন এর ক্ষমতা যদি আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দিয়ে থাকি সে ওই ক্ষমতাকে প্রোপালি চর্চা করতে পারছে কিনা অথবা তার কাছে এটি কি এর স্পষ্ট এই সরকারের টার্মস অফ রেফারেন্স কতটুকু, সে ব্যাপারে কি স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে কন্সেন্সেসাস আছে? এই বিষয়গুলি পরিষ্কার না হলে কিন্তু অনেক আলোচনায় পন্ড হয়ে যেতে পারে।
ইকতেদার আহমেদ বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও নির্বাচন কমিশন গঠন করার সময় সার্চ কমিটি তৈরি করা হয় যা করে উচ্চ আদালত। উচ্চ আদালত দিয়ে সার্চ কমিটি করার কোন নিয়ম নেই।
আব্দুল হক বলেন, ব্রিটিশ কলোনিতেও রবার্ট ক্লাইভকে বিচারে আনা হয়েছে। আমাদের ৬ মাস হয়েছে কিন্তু এখনো কোন অপরাধীর বিচার হয় নাই। সিরিয়াতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অপরাধীর বিচার হয়ে গিয়েছে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করা দরকার যেমনটি ভিয়েতনামে করেছে স্কিল ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে যার জন্য তারা বিনিয়োগের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের পুঁজি বা বিদেশী বিনিয়োগ আনতে হবে।
অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, আমাদের মন মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। অনেক আগে থেকেই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হয়ে এসেছে আমাদের দেশে। জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন তৈরি করা উচিত। দ্রুততম সময়ে যেই সংস্কার করা জরুরি তা করা দরকার।
ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, বাংলাদেশে ওয়েস্টমিনিস্টার সিস্টেমে চলে না। এখানে জয়ীরা সব নিয়ে নেয়। বাংলাদেশে তিনটি বডির মধ্যে সেপারেশন অফ পাওয়ার আনা খুব জরুরি। সংস্কার রাতারাতি সম্ভব নয়। সংবিধান সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে পার্লামেন্টকে দ্বিকক্ষ করার প্রস্তাব এসেছে। এর সাথে আমি একমত। আইনসভায় সংবিধান সংস্কারে নারী আসন রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এই নারী আসনে তারাই আসে যেসব পুরুষ আসন পায় না। নারী আসনে নির্বাচনের মাধ্যমে আসতে হবে। সেন্সিটিভ বিষয়ে প্রয়োজনে গণভোট নিতে হবে। জুডিশিয়ারিকে আলাদা করতে হবে।
ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন, গত ১৫-১৬ বছরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ক্যাডার বলে যারা পরিচিত তারা অনেকেই এই প্রতিষ্ঠানটিতে (পাবলিক সার্ভিস কমিশন) নিয়োজিত হয়েছেন। এই দৃষ্টিভঙ্গি কি অবশ্যই মায়োপিক। এবং এই দৃষ্টিভঙ্গির লিগ্যাসি শুধুমাত্র পাবলিক সার্ভিস কমিশনে নয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মধ্যেও পরোক্ষভাবে দেখতে পাচ্ছি। সেজন্য একটি কমিশন করে স্টেট উইথিন অ্যাক্টরসদের মধ্যে এই ব্যত্যয়গুলো তুলে ধরা দরকার। এই ট্রেডিশন থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
ড. জাহেদ উর রহমান বলেন, আমরা শেখ হাসিনার পতন চেয়েছি। তার পতনের পর আমরা কিছু আশা চাপিয়ে দিয়েছি। কমিশন কাজ করার জন্য ইচ্ছা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সংস্কার জনগণের ভিতরে থাকলে কোন রাজনৈতিক দল সেই সংস্কার বাদ বা বিরোধী হতে পারবে না।
পারভেজ করিম আব্বাসী বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি অনেক আশা আছে। কিন্তু মানুষ অর্থনৈতিক সমস্যা ও আইনশৃঙ্খলার সমস্যার জন্য ভাল জিনিসও ভাল লাগবে না। দেশের যে প্রান্তেই কেউ থাকুক না কন সে যতই মেধাবী হোক ঢাকা না আসলে সে কিছু হতে পারে না।
মাসুদ কামাল বলেন, পরিবর্তন হতে হবে মনস্তাত্ত্বিক জগতে। আইন যারা বানায় তারাই যদি আইন ভাঙ্গে তাহলে সঠিকভাবে আইনের প্রয়োগ হয় না। সরকার শপথ নেওয়ার সময় বলে সংবিধান মেনে চলবে কিন্তু ১০ মিনিট পরেই বলে যে সে সংবিধান মানে না।
আবু সাঈদ খান বলেন, রাজনীতি ঠিক না হলে কোন কমিশনই ঠিক হবে না। কালো আইনগুলো বাদ দিয়ে সংবিধানকে মুক্ত করতে হবে। সংবিধানের অগণতান্ত্রিক বিধানগুলো বাদ দিতে হবে। সব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার করতে পারবে না এর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কথা বলতে হবে।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ৫৩ বছরে আমাদের সংবিধান ১৭ বার পরিবর্তন করা হয়েছে। ২৫০ বছরে আমারিকাতে সংবিধানে তেমন পরিবর্তন আসে নাই। সংস্কার কখনোই করা যায় নাই আমাদের দেশে, দলের মধ্যেও না। সব কিছু ভেঙ্গে আবার নতুন করে গড়ে তোলা দরকার।
জোনায়েদ সাকি বলেন, প্রস্তাবনা যা তৈরি হয়েছে কিছুর সাথে আমরা একমত আবার কিছুর সাথে একমত না। নির্বাচন লাগবে সংস্কার করার জন্য। বাংলাদেশে এখন সিস্টেম তৈরি করতে হবে, রাষ্ট্রে পরিবর্তন আনতে হবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জনগণের জন্য তৈরি করা। বিরোধী দল ও সরকারের মধ্যে কন্সেন্সাস থাকতে হবে।
এম এ আজিজ বলেন, মানুষের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন করতে হবে। এটি না হলে কোন সংস্কার কাজে আসবে না। রাজনৈতিক দলের সাথে যেন দূরত্ব তৈরি না হয় সেভাবে সংস্কার করতে হবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে আমলা অথবা দলের লোকদেরকে বসানো হয়। এটি পরিবর্তন করতে হবে। এই সরকার প্রথমে রাজনৈতিক দলগুলোকে এড়িয়ে চলেছে। শুরু থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোকে সংস্কারে যুক্ত করা দরকার ছিল।
সোহরাব হাসান বলেন, মানুষ পরিবর্তন না হলে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন হবে না। প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন না হলে মানুষ পরিবর্তন হবে না। শেখ হাসিনা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বাধা দিয়েছে তাই তার পতন হয়েছে। সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে ঐক্যমত থাকতে হবে।
কে এস মং বলেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত করতে হবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বায়ত্তশাসিত করা দরকার। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হল নির্বাচন করা, ভোটার আইডি বানানো নয়। মহাহিসাবরক্ষক কেন করেছে তা নিয়ে আমি সন্দিহান। মানবাধিকার কমিশন সরকারের হাতে দেওয়া যাবে না। মানবাধিকার কমিশনকে বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে। কর্ম কমিশন বা সাংবাধিনাকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা ও অর্থ প্রণয়নের নীতি ক্ষমতা দিতে হবে।
মুনমুন মাহজাবিন বলেন, দ্বিকক্ষ বিষয়ে আমি একমত। কর্ম কমিশনে পুলিশ ভেরিফিকেশনে ভিন্ন দলকে সমর্থন দিলে তাকে গেজেটে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এই জনিসগুলকে ঠিক করতে হবে। তাদেরকে কেন বাদ দেওয়া হচ্ছে সেটির ব্যাখ্যা দিতে হবে। ভয়ের সংস্কৃতি এখনো আছে। স্বাধীন মত প্রকাশে এখনো বাধা আছে। ৫ থেকে ৬ মাস হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনো এটির কোন সমাধান আসে নাই। সাংবিধানিক প্রতিস্থানে নিয়োগে দলের লোকদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া উচিত। সরকারী চাকরিজীবী বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কেউ ভুল করলে ঐ প্রতিষ্ঠানই তার বিচার করে। এতে ছাড় দেওয়ার একটা সুযোগ চলে আসে। এগুলো সংশোধন করা উচিত।
মুহাম্মদ খালিদ খান বলেন, নির্বাচন কমিশনের বেহাল দশা অবস্থায় আছে। এটির নিয়োগ প্রক্রিয়া রাজনৈতিকভাবে হয়ে থাকে। ভাল কাউকে নিয়োগ করা হলেও সে ভাল কাজ করতে পারে না প্রশাসনের সহযোগিতার অভাবে। অর্থনৈতিকভাবে তারা দলীয় সরকারের উপর নির্ভরশীল যার ফলে তারা ভাল করে কাজ করতে পারে না। জনগণের বিশ্বাস কমে যাচ্ছে। এই সমস্যাগুলো সমাধান করা জরুরি।
//এল//