সংগৃহীত ছবি
বিভিন্ন গণমাধ্যমগুলোতে জেন্ডার নীতিমালাকে যথাযথ অগ্রাধিকার না দেওয়ার ফলে পক্ষপাতমূলক এবং অসংবেদনশীল প্রতিবেদন তৈরি হয়।
এটি জেন্ডারভিত্তিক ন্যায্যতা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বের অভাব সৃষ্টি করে।
এই সমস্যাগুলি সমাধানে সরকারের এবং মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন যাতে জেন্ডার-সংবেদনশীল প্রতিবেদন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিমালা নিশ্চিত করা যায়।
আজ শনিবার ( ২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ’ কনফারেন্স রুমে গবেষণাভিত্তিক এডভোকেসি প্রতিষ্ঠান ‘ভয়েসেস’ ফর ইন্টারএকটিভ চয়েস এন্ড এমপাওয়ারমেন্ট(ভয়েস) এর আয়োজনে ‘’ সাংবাদিক ও নারী মানবাধিকার কর্মীদের জন্য জেন্ডার সংবেদনশীল প্রতিবেদন তৈরির প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
কর্মশালার উদ্দেশ্য তুলে ধরেন ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ।
কর্মশালায় প্রশিক্ষকেরা সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের জেন্ডার-সংবেদনশীল প্রতিবেদন তৈরির বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। পাশাপাশি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এবং নারী বিষয়ক অধিদপ্তরকে দ্রুত উদ্যোগ নিতে এবং দেশব্যাপী জেন্ডার-সংবেদনশীল প্রতিবেদন তৈরির প্রশিক্ষণ প্রদানে বিশেষভাবে সংবাদকর্মীদের জন্য জেন্ডার-সংবেদনশীল নীতি প্রণয়ন করার আহ্বান জানান।
প্রশিক্ষকেরা বলেন, সাংবাদিকদের মানবাধিকার বিষয়ক কাঠামো যেমন সর্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণাপত্র এবং দেশের সংবিধান সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত যাতে তারা নারীর অধিকার সম্পর্কে যথার্থভাবে বুঝতে পারে।
এআইইউবির গণমাধ্যম ও গণযোগাযোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আফরোজা সুমা, অধিকার কর্মী শেখ মনজুর ই আলম, অধিকার এবং জেন্ডার ইস্যু বিশেষজ্ঞ সানাইয়া ফাহিম আনসারি এবং দৈনিক আমার দেশ-এর উপ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ কর্মশালাটি পরিচালনা করেন।
সুলতান মাহমুদ তার উপস্থাপনায় উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে জেন্ডার-সংবেদনশীল প্রতিবেদন প্রায়ই জাতীয় বাজেট এবং সম্পাদকীয় নীতিতে উপেক্ষিত থাকে। গণমাধ্যমের গঠনমূলক ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও জেন্ডার- বিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য জাতীয় বাজেটে যথেষ্ট অর্থ বরাদ্দ নেই।
কর্মশালায় সাংবাদিকদের নারী বিষয়ক প্রতিবেদন তৈরির জন্য বিভিন্ন বিষয় এবং ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিনিধিত্বের গুরুত্ব আলোচনা করা হয়। পরবর্তীতে মানবাধিকার ও নারীদের অধিকারসমুহ সেইসাথে আন্তর্জাতিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রশিক্ষকরা বলেন, সংবাদ মাধ্যম নারী সম্পর্কিত বিষয়গুলো সঠিকভাবে উপস্থাপনে কম যত্নবান হচ্ছেন,যার ফলে অসংবেদনশীল প্রতিবেদনগুলো নারী ভুক্তভোগীদের পুনরায় মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। তারা বাংলাদেশের নারী সম্পর্কিত আইন ,যৌন হয়রানির নীতিমালাএবং নারীর প্রতি সকল বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও) নিয়ে আলোচনা করেন যা নারীর অধিকার এবং জেন্ডার সমতা সুরক্ষিত করে।
এছাড়াও প্রতিবেদন কাঠামোর সমস্যা ও সচেতনতার অভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে ২০ জন নারী সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মী অংশগ্রহণ করেন।
//এল//