ফাইল ছবি
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম মন্তব্য করেছেন যে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আসলে আরেকটি এক-এগারো সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিবের এই দাবি মূলত ১/১১ এর পুনরাবৃত্তির ইঙ্গিত। ১/১১ এর পরিস্থিতি থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটেছিল। তার বক্তব্যে নতুন করে ১/১১ সরকারের সম্ভাবনা, সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিকতা প্রকাশ পায়।’
নাহিদ ইসলাম আরো উল্লেখ করেন, ‘৫ আগস্ট থেকে ছাত্র ও অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকে মাইনাস করার পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। যখন ছাত্র-জনতা রাজপথে লড়াই করছে, তখন কিছু জাতীয় নেতা নতুন সরকার গঠনের পরিকল্পনায় ব্যস্ত ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ৩ আগস্ট থেকে বলেছি, কোনো সেনাশাসন বা জরুরি অবস্থা মেনে নেবো না। ক্যান্টনমেন্টে যেতে বলা হলেও আমরা অস্বীকার করেছি। শেষ পর্যন্ত ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।’
‘আমরা চেয়েছিলাম ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ও নাগরিক সমাজের সমন্বয়ে একটি জাতীয় সরকার। কিন্তু বিএনপি জাতীয় সরকারের কথা বলছে নির্বাচনের পরে, যা দেশের স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ছাত্ররাই বর্তমান সরকারের একমাত্র ফ্যাক্টর, যা ১/১১ এর সরকার থেকে বর্তমান সরকারকে আলাদা করে। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি ১/১১ সরকারের প্রস্তাবনা করছে, যা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সরকারে আন্দোলনের সব পক্ষের অংশীদারত্ব রয়েছে এবং বিএনপির লোকজন বিভিন্ন স্তরে রয়েছে। রাষ্ট্রপতির পরিবর্তন, সংস্কার ও নতুন সংবিধান নিয়ে বিএনপি বিরোধী অবস্থান নিয়েছে, অথচ ছাত্রদের দাবি ছিল না।’
‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বিষয়ে ঐক্য গঠন সম্ভব হয়নি, অথচ ভারতের প্রধান দলগুলোর মধ্যে ঐক্য হয়েছে। আমি মনে করি না সমগ্র বিএনপি এই অবস্থান গ্রহণ করে। বরং বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের বড় অংশই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন চায়। আমি বিএনপির দেশপ্রেমিক নেতৃত্বকে আহ্বান জানাচ্ছি, ছাত্র জনতার সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্য ও সংহতির পথ বেছে নিন।’
ইউ