সংগৃহীত ছবি
সংবিধান সংস্কার কমিশন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা প্রদানের সুপারিশল জানিয়েছে। এ কারণে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সাধুবাদ জানিয়েছে অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশন।
এ্যাসোসিয়েশন মনে করে, সাংবিধানিক সংস্থায় পরিণত হলে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর/ সংস্থাসহ সকল মহলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক প্রেরিত সুপারিশসমূহের গুরুত্ব এবং তা বাস্তবায়নের হার বাড়বে। ফলে মানবাধিকার সুরক্ষায় জনমানুষের প্রত্যাশা পূরণে কমিশন আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।
যেহেতু সাংবিধানিক সংস্থার প্রতিষ্ঠা, দায়িত্ব ও কর্মের ধরন ইত্যাদি সংবিধান দ্বারা নির্ধারিত হয় তাই এর মর্যাদা, কার্যকারিতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করে এ্যাসোসিয়েশন । জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের মাধ্যমে রাষ্ট্রের মানবাধিকার সুরক্ষার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে পূর্ণ সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে।
উল্লেখ্য , পার্শ্ববর্তী দেশ যেমন নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানসমূহের সাংবিধানিক স্বীকৃতি রয়েছে এবং গ্লোবাল এলায়েন্স অব ন্যাশনাল হিউম্যান ইনস্টিটিউশনস এর “এ স্ট্যাটাস” প্রাপ্তিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশন মনে করে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী। মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভীষিকাময় চর্চা বন্ধে ও মানবাধিকার সংস্কৃতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী করা দরকার।
//এল//