সংগৃহীত ছবি
এবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের মোবাইল নম্বরে মালয়েশিয়ার একটি নম্বর থেকে বোমা হামলার হুমকি সংবলিত বার্তা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে হোয়াটসঅ্যাপে এই হুমকি বার্তা দেয়া হয়। এরপরই তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নিরাপত্তা জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাত ১১টায় এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মালয়েশিয়ার একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে বিমানবন্দরে হুমকির এই বার্তা পাঠানো হয়। তবে বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা এখনও স্বাভাবিক রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মাদ কামরুল ইসলাম জানান, রাতে একটি থ্রেট পেলেও বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। একটি অপরিচিত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে আমরা আবারও আরেকটি সম্ভাব্য হুমকির বার্তা পেয়েছি। এরপর থেকেই নির্ধারিত প্রোটোকল অনুযায়ী বিমানবন্দরে দায়িত্বরত সব বাহিনীর সমন্বয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিমানবন্দরের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই।
এর আগে সকালে পাকিস্তানের একটি নম্বর থেকে ইতালি থেকে ছেড়ে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বিস্ফোরক থাকার তথ্য দেয়া হয়। বলা হয়, বিমানের রোম থেকে ঢাকা অভিমুখী ফ্লাইটে ৩৪ কেজি বিস্ফোরক রয়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি অবতরণের পর এগুলো বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। বার্তাটি সতর্কতা হিসেবে জানানোর জন্য দেওয়া, এটি কোনো হুমকি নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, বার্তা পাওয়ার পর ওই নম্বরে ফোন করা হলেও তা রিসিভ করা হয়নি। বিমানবন্দর থেকে ফোন করা হলেও অপরপ্রান্ত থেকে সেটি রিসিভ করা হয়নি। তবে একইসঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটিং অব্যাহত রাখা হয়, পাশাপাশি সবাইকে অ্যালার্ট করে দেওয়া হয়। বিস্ফোরক কারা রেখেছে, হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটিংয়ে এমন প্রশ্ন করা হলে বলা হয়, কোনো বিরোধী পক্ষ আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আনার জন্য করতে পারে।
বার্তাটি পাওয়ার পর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আড়াইশ যাত্রীর নিরাপত্তায় ইতালির রোম থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করায়। সেই সঙ্গে সবাইকে সতর্ক করে দেয়।
পরে বিকেলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এটা একটা মিথ্যা সংবাদ। কোনো কিছু তো হয়নি। মিথ্যা সংবাদ ছড়ানো হয়েছে। মিথ্যা সংবাদ ছড়ানোদের শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শনাক্ত করা গেলেই আইনের আওতায় আনা হবে।
//এল//