ঢাকা, বাংলাদেশ

বুধবার, , ২২ জানুয়ারি ২০২৫

English

জাতীয়

তামাক নিয়ন্ত্রণে ৬ সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি

উইমেনআই প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৪৮, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

তামাক নিয়ন্ত্রণে ৬ সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি

ছবি: উইমেনআই২৪ ডটকম

তরুণ প্রজন্মের সুস্থ ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ৬ সংশোধনী  দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছে তামাক বিরোধী শিক্ষক  ফোরাম। 

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে নারী মৈত্রী আয়োজিত ‘তামাক বিরোধী শিক্ষক ফোরাম’ গঠন বিষয়ক সভায় এ দাবি জানান তারা।

নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলির সভাপতিত্বে বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত তামাক বিরোধী শিক্ষক ফোরাম এর আহ্বায়ক হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি  ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক  ডা. খালেদা ইসলাম, সহ-আহ্বায়ক বাংলাদেশ শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক তনুশ্রী হালদার ও  বাংলা আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক শামীমা নাসরীন।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি  ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রেসিডেন্ট  সীমা জহুর, তামাক বিরোধী মায়েদের ফোরামের আহ্বায়ক শিবানী ভট্ট্যাচার্য এবং কো- আহবায়ক শাহনাজ পলি।

নারী মৈত্রীর প্রকল্প সমন্বয়ক নাসরিন আক্তার তার বক্তব্যে বলেন, ‘প্রতিদিন তামাক সেবনের কারণে বাংলাদেশে ৪৪২ জন মানুষ প্রাণ হারান। এই মর্মান্তিক পরিসংখ্যান আমাদের জনস্বাস্থ্য ও জীবন রক্ষার ক্ষেত্রে এক গভীর সংকট সৃষ্টি করেছে। যদিও বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম, তবুও ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন ও প্রণোদনা নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে সর্বোত্তম মান অর্জনে আমরা এখনো পিছিয়ে আছি।’

তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরের এমন কোনো অঙ্গ নেই যা রক্ষা পায়। তামাক সেবনের ফলে ক্যান্সার, হৃদরোগ, ফুসফুসের রোগসহ অসংখ্য অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। তাই, এসব রোগ মোকাবিলায় তামাক নিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই”।

তিনি আরো বলেন, পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, তামাক পণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেটের আমদানি, উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির যেকোনো ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা, বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন এবং খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা এবং সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশ বাড়ানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

একি সাথে বাংলাদেশ সরকারকে  ইতিমধ্যেই ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধে চমৎকার উদ্যোহ গ্রহণের জন্যও ধন্যবাদ জানান তিনি।

ফোরামের আহ্বায়ক ড.  খালেদা খানম বলেন, ‘অল্প বয়সে ধূমপানে আসক্ত হওয়া কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা দিনদিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার 'গ্লোবাল ইয়ুথ টোব্যাকো জরিপ' অনুযায়ী, ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ধূমপানের হার বাংলাদেশ, ভারত এবং ইন্দোনেশিয়াতে সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশে প্রায় ১২ শতাংশ কিশোর-কিশোরী নিয়মিত ধূমপানে আসক্ত, যা দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি গুরুতর সংকেত। অতএব, যুবসমাজকে রক্ষা করতে, যত দ্রুত সম্ভব তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাস করা জরুরি। 

তামাক বিরোধী শিক্ষক ফোরামের উদ্দেশে সীমা জহুর, বলেন, ‘তামাক কোম্পানিগুলো নানা কৌশলে যুবসমাজকে তাদের ক্ষতিকর পণ্যে আকৃষ্ট করছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোকে তারা একটি বড় কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তামাক কোম্পানির বিজ্ঞাপন, প্যাকেজিং, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ক্যাম্পাসের আশপাশের টং দোকানে সহজলভ্যতা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শিক্ষক সমাজকে আরো সক্রিয় হতে হবে। শিক্ষকরা শুধু পাঠদানকারী নন, তারা সমাজের পথপ্রদর্শক। তাদের দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে অবহিত করা। একইসঙ্গে নিজ নিজ অবস্থান থেকে তামাক কোম্পানির নানান কূটকৌশল বন্ধে রুখতে রুখে দাঁড়ানো, প্রতিবাদ গড়ে তোলা এবং নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধূমপান মুক্ত নিশ্চিত করে শিক্ষার্থীদের একটি সুন্দর পরিবেশে বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দেয়া।  

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসের আশপাশে টং দোকানে তামাক বিক্রি বন্ধ করার জন্য প্রশাসন ও শিক্ষকদের সহযোগিতা অপরিহার্য। তাই এসব দোকানে তামাকের বিক্রি বন্ধ এবং বিজ্ঞাপনগুলোতে নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন বলেও মনে করেন করেন তিনি।

শিক্ষক ফোরামের অন্যান্য সদস্যরাও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন তামাক  নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাস করা হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পাবে বেড়ে ওঠার জন্য একটি সুস্থ, নিরাপদ এবং তামাকমুক্ত পরিবেশ। যেখানে তারা হবে স্বাস্থ্যবান, সুস্থ মানসিকতার অধিকারী এবং জাতির প্রতি দায়িত্বশীল নাগরিক। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাসের জোর দাবি জানান তারা। 

ইউ

গদখালির ফুল চাষিদের ব্যস্ততা

‘সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুই দেশের জন্যই সুফল বয়ে আনবে’ 

রাজধানীর ১৯ খাল পলিথিনে ভরে গেছে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা 

পুলিশের সব ইউনিটে থাকবে একই পোশাক

চরমোনাই পীরের বাড়িতে গেলেন জামায়াতের আমির

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউএন উইমেনের ৪.৮ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি

উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে কাউন্সিল গঠন: অধ্যাদেশ জারি

বিস্ফোরক মামলায় জামিনপ্রাপ্ত ১৭৮ আসামির তালিকা প্রকাশ

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী সরকারের নতুন পদক্ষেপ 

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

তৃণমূলের মানুষের অজেয় উত্থান প্রত্যাশী

তামাকমুক্ত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু 

প্রধান উপদেষ্টা সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেছেন

‘অপরাধীদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে’ 

দিনে ৪১ শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়