ঢাকা, বাংলাদেশ

বুধবার, , ২২ জানুয়ারি ২০২৫

English

জাতীয়

গাছ কেটে প্রকল্প: জাবির প্রাণ-প্রকৃতিতে বিরূপ প্রভাব

উইমেনআই প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৪৪, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

গাছ কেটে প্রকল্প: জাবির প্রাণ-প্রকৃতিতে বিরূপ প্রভাব

ছবি: প্রাণিকুলের কথা বিবেচনায় না নিয়েই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ কেটে ভবন...

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চলমান অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২৬টি নতুন অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে। এই প্রকল্পের ফলে প্রায় এক হাজার গাছ কাটা পড়েছে, যা প্রাণী ও পাখিদের আবাসস্থল হারানোর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুউচ্চ ভবনগুলোর সঙ্গে ধাক্কা লেগে অনেক পাখি প্রাণ হারাচ্ছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-প্রকৃতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এই পরিস্থিতির জন্য ‘অপরিকল্পিত’ গাছ কাটাকে দায়ী করেছে।

নতুন প্রকল্পের ব্যয় ও মেয়াদ বাড়ানোর জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আইএমইডিকে একটি সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরি করতে নির্দেশ দেয়। আইএমইডির পরিচালক সোনিয়া বিনতে তাবিব গত বছরের ৮ ডিসেম্বর সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রকল্পের অসঙ্গতিগুলো চিহ্নিত করেন।

আইএমইডির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রকল্পের জন্য বৃক্ষরোপণের জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়নি, অথচ পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রচুর গাছ লাগানো প্রয়োজন। ক্যাম্পাসে গুইসাপ, বেজি, শেয়াল, কাঠবিড়ালি ও পরিযায়ী পাখির মতো প্রাণীদের কথা বিবেচনায় না নিয়েই গাছগুলো কাটা হয়েছে। এর ফলে জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাসে পাখির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ১৫টি বিভাগে ২ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি করা, নতুন ছাত্র ও ছাত্রী হল নির্মাণ, এবং একটি অত্যাধুনিক প্রশাসনিক ভবন তৈরি করা। তবে, ২০১৮ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্প একবার মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হয়নি এবং নতুন করে আবার সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে গাছ কাটার পর নতুন করে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় তো কোনো বনভূমি নয়। প্রথমদিকে জায়গা খালি থাকায় সবখানে গাছ লাগানো হয়েছিল। এখন ভবন নির্মাণের জন্য কিছু জায়গার গাছ কাটতে হয়েছে।’

এদিকে, আইএমইডি জানায়, প্রকল্পের কারণে সৃষ্ট পরিবেশের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রকল্পের কাজ চলমান থাকলেও, ক্যাম্পাসে নির্মিত আবাসিক ভবনগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকার আশঙ্কা রয়েছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামো নির্মাণের ফলে পাখি ও প্রাণিকুলের আবাস ধ্বংস হয়েছে’ তিনি আরো জানান, আইএমইডির প্রতিবেদন এখনো তাদের হাতে পৌঁছায়নি, তবে পাখির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়া সত্যি, কিন্তু পাখি মারা যাচ্ছে কী না তা জানা নেই।

এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।

ইউ

গদখালির ফুল চাষিদের ব্যস্ততা

‘সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুই দেশের জন্যই সুফল বয়ে আনবে’ 

রাজধানীর ১৯ খাল পলিথিনে ভরে গেছে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা 

পুলিশের সব ইউনিটে থাকবে একই পোশাক

চরমোনাই পীরের বাড়িতে গেলেন জামায়াতের আমির

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউএন উইমেনের ৪.৮ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি

উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে কাউন্সিল গঠন: অধ্যাদেশ জারি

বিস্ফোরক মামলায় জামিনপ্রাপ্ত ১৭৮ আসামির তালিকা প্রকাশ

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী সরকারের নতুন পদক্ষেপ 

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

তৃণমূলের মানুষের অজেয় উত্থান প্রত্যাশী

তামাকমুক্ত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু 

প্রধান উপদেষ্টা সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেছেন

‘অপরাধীদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে’ 

দিনে ৪১ শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়