ছবি: উইমেনআই২৪ ডটকম
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক বলেছেন, ২০২৪ এর জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশে একটি অভুতপূর্ব পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে এবং এই অভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মত্যাগ আমাদের নিঃস্বার্থ কাজ করার দায়িত্ব অর্পণ করেছে। এই সুযোগ বার বার আসবে না। তাই সময়ক্ষেপণ না করে সাহসিকতার সাথে রাষ্ট্র ও জনকল্যাণে কাজ করে নিজেদের গৌরব ও আত্মমর্যাদাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে কক্সবাজার জেলায় অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি ইজিপিপি ( ইমপ্লমেন্ট জেনারেশন প্রোগাম ফর দা পুওরেস্ট ) প্লাস বাস্তবায়ন বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান,এনডিসির সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও প্রকল্প পরিচালক অঞ্জন চন্দ্র পাল বক্তৃতা দেন।
উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী বা সংক্ষেপে ইজিপিপি বাংলাদেশের অতি দরিদ্রদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যোগ; যা শুধু আর্থিক সহায়তা প্রদান করে না, বরং গ্রামাঞ্চলের জনগণের জীবিকার সুযোগ বৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।
তিনি বলেন, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকরা কক্সবাজার জেলায় অনুপ্রবেশ করার পর, স্থানীয় জনগণ সামাজিক এবং আর্থিকভাবে ব্যাপক পরিসরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও স্থানীয় জনগণের দৈনন্দিন জীবনে গভীর প্রভাব ফেলছে । যা পুরো কক্সবাজার অঞ্চলের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, এই সব বিবেচনায়, কক্সবাজার এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য দূরীকরণ, জীবনমান উন্নয়নে এই কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ।
ফারুক ই আজম বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পগুলো সরকারি কিংবা বিদেশী সাহয্যে গৃহিত হয়ে থাকে। এখানে আমরা কেউই ব্যাক্তিগত অর্থ ব্যয় করছি না। কিন্তু সৌভাগ্যের বিষয় এই যে, রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসাবে এ সমস্ত মহৎ উদ্যোগে আমরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত। আমরা নির্মোহ থেকে নিজেদের মেধা, সময় ও শ্রম ব্যয় করে দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারলেই সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
ইউ