ছবি: উইমেনআই২৪ ডটকম
বিভিন্ন পরিস্থিতিতে, গভীর সংকটে মানুষের পাশে থাকতে আয়শা খানম আমৃত্যু নিজেকে তৈরি করেছেন। নিজেকে যোগ্য করে তুলতে কাজ করে গেছেন। যা সব সময়ের জন্য আমাদের কাছে শিক্ষণীয়। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সুফিয়া কামাল ভবন মিলনায়তনে প্রয়াত সভাপতি আয়শা খানমের পঞ্চম প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনেরা একথা বলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রয়াত সভাপতির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। নীরবতা পালন শেষে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও কর্মকর্তাগণ প্রয়াত আয়শা খানমের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ পূর্বক শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
আয়শা খানমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সংগঠনের কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রশিক্ষণ ও গবেষণা পরিচালক শামীমা আফজালী শম্পা সংগীত পরিবেশন করেন। স্মৃতিচারণ করে কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতা অদ্ভুত আধার এক ও হেলাল হাফিজের একটি পতাকার জন্যে কবিতাটি আবৃত্তি করেন আইটি কো-অর্ডিনেটর দোলন কৃষ্ণ শীল।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম।
উক্ত কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, ডেপুটি ডিরেক্টর (লিগ্যাল এডভোকেসি ও লবি) রামলাল রাহা।
মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু প্রয়াত আয়শা খানমের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আজ এমন একজন নারী নেত্রীর স্মরণে আমরা কথা বলছি যার সাহচর্যে আমরা দিনের পর দিন কাটিয়েছি। যাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। তিনি বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক পর সংগঠন পরিচালনার মূল নেতৃত্বে আসেন এবং নারী আন্দোলনে ভূমিকা পালনে সংগঠনকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সুদুরপ্রসারী ও উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করেন, দিনের পর দিন সংগঠকদের সাথে নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। পাশাপাশি সংগঠনের কাজ এগিয়ে নিতে উত্তরসূরীদের মধ্যে যৌথ নেতৃত্ব দানের সক্ষমতা গড়ে তোলা, আন্ত:সমন্বয় গড়ে তোলার মত মানসিকতা তৈরিতে তিনি যে সাংগঠনিক দক্ষতা ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন তা সংগঠনকে গতিশীল রাখতে আজও পথ দেখিয়ে যাচ্ছে। আয়শা খানমের প্রস্থানে তার অভাব প্রতিমূহূর্তে অনুভূত হয়। কিন্তু উত্তরসূরী হিসেবে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ও রেখে যাওয়া কাজ সম্পাদনে আমাদের উদ্যোগী হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডা ফওজিয়া মোসলেম বলেন, আয়শা খানম যে মাপের মানুষ তাকে কেবল একটি স্মরণসভার মধ্য দিয়ে স্মরণ করেই সম্ভব নয়। প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে আমরা আয়শা খানমকে স্মরণ করি। তার রেখে যাওয়া কাজের মধ্য দিয়ে তার ব্যপ্তিকে ধরে রাখার চেষ্টা করি। ষাটের দশকে যে পরিবার আমরা গড়ে তুলেছিলাম তা ক্রমশই ছোট হয়ে আসছে। আয়শা খানম বলতেন একেক দশক শেষে একেক প্রজন্ম আসে, তাদের দূর্বলতা থাকে, তাদের দায়বদ্ধতা থাকে এবং তাদের কৃতিত্ব থাকে।
ইউ