ছবি: উইমেনআই২৪ ডটকম
কক্সবাজারের টেকনাফে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশের স্বার্থ রক্ষার্থে মিয়ানমার সরকার ও আরকান আর্মির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছি। বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগ রক্ষার্থে যুদ্ধাহত মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নাগরিককে গ্রহণ করা হয়েছে। প্রায় ৮৭৬ জন মিয়ানমারের নিরাপত্তা কর্মী এদেশে ঢুকে আত্মসমর্পণ করেছে। আবার তাদের ফিরিয়েও দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের নিরাপত্তা ও সীমান্তবাসীকে রক্ষায় বিজিবি পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থা নিশ্চিদ্র সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে। সীমান্ত সম্পূর্ণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। ইতিমধ্যে মিয়ানমার সীমান্তে জনবল বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনীর জনবলও বৃদ্ধি করা হয়েছে। নাফনদীতে টহল তৎপরতা জোরদার রয়েছে।
মাদকের অজুহাতে নাফনদীতে মাছ শিকার বন্ধ ও মাদেকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মিয়ানমারের গুলাগুলির কারণে নাফনদীতে আপাতত মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া টেকনাফে মাদক একটি বড় সমস্যা। এটা অনেক আগের সমস্যা। এ মাদক যেভাবে হোক নির্মূল করতে হবে। এজন্য মসজিদের ইমামদের ভুমিকা রাখতে হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘মিয়ানমারে সৃষ্ট সমস্যার কারণে নতুন করে ৫০ থেকে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের রেজিষ্ট্রেশনের ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত না হলেও মানবিক কারনে খাদ্য পন্য ঠিকঠাক মতো পাচ্ছে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত পরিদর্শন শেষে মিয়ানমারের আরকান আর্মি মংডু দখলের পর সীমান্ত পরিস্থিতি ও রোহিঙ্গা সমস্যার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে টেকনাফের দমদমিয়া বিএডব্লিউটিএ ঘাটে দুপুর দুইটায় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা তুলে ধরেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
এর আগে তিনি সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর হতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নে হেলিকপ্টার যোগে এসে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন, দমদমিয়া বিওপি ও নাফ নদীতে বিজিবির ডিউটির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এসময় তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন- বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার একান্ত সচিব ও সহকারী একান্ত সচিব, টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. মহিউদ্দিন খান, ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা
ইউ