সংগৃহীত ছবি
কুলি সম্প্রদায়ের ১৫ জন প্রশিক্ষণার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ৩ দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রশিক্ষণ।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের পাশে প্রায় ২০০ ছবি প্রদর্শিত হয়েছে। প্রদর্শনীতে বিভিন্ন পেশার শ্রমিক এবং যাত্রীদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রার চিত্র ফুটে উঠেছে।
আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রশিক্ষণ শেষে তাদের নিজেদের মোবাইল ফোনে তোলা ছবি নিয়ে সন্ধ্যায় প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে সমাপনী দিনে আলোকচিত্র প্রদশর্নী পরিদর্শন করতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। পরিদর্শনে সবার সাথে মতবিনিময় করেন এবং তাদের ভাবনাগুলো শোনেন তিনি।
বিভিন্ন সম্প্রদায়কে নিয়ে ভিন্নধর্মী এ প্রশিক্ষণ সম্পর্কে এর আগে মহাপরিচালক বলেন, “শৈল্পিক ভাষা প্রকাশের জন্য যে অস্ত্রের ব্যবহার জানা প্রয়োজন, তারা তার ব্যবহার শিখেছেন। আমরা কেবল ‘শিক্ষিত’, ‘মধ্যবিত্ত’দের এই দৃষ্টিতে দেখে এসেছি। তথাকথিত ‘নিম্নস্তরের’ যারা তাদের মাধ্যমেও আমরা শৈল্পিক বিপ্লব ঘটাতে পারি। তারা কিভাবে তাদের জীবনকে দেখতে চায় সেটা আমরা এই প্রশিক্ষণ এবং প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেখতে পেয়েছি।”
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ‘আমাদের গল্প আমরাই বলবো, মেহনতি জনতার জন্য আলোকচিত্র প্রশিক্ষণ’ শুরু হয় গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, প্রতিদিন সকাল ১০টা-বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
পরবর্তী কার্যক্রমে আগামী ২৮-৩০ ডিসেম্বর, সেগুনবাগিচায় গৃহ শ্রমিকদের নিয়ে আলোকচিত্র প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে এ সকল মানুষের অংশগ্রহণে সংগৃহীত আলোকচিত্র নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। শ্রমজীবী মানুষের পাশাপাশি কিশোর-কিশোরীদের নিয়েও এই আয়োজনকে জেলা পর্যায়ে বিস্তার ঘটানোর পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির