সংগৃহীত ছবি
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় সিরডাপ মিলনায়তনে (সেন্টার অফ ইন্টিগ্রেটেড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) এর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কারের অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে ধারাবাহিক আয়োজন ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপঃ আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গ’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা একথা বলেন।
বক্তাদের মধ্যে ছিলেন; নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও সভাপতি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ মেজর জেনারেল আ ন ম মুনীরুজ্জামান (অবসরপ্রাপ্ত); সাবেক আইজিপি এম এনামুল হক; সাবেক পুলিশ পরিদর্শক, মুহাম্মদ নুরুল হুদা; উপদেষ্টা, বিএনপি চেয়ারপার্সন, জহির উদ্দিন স্বপন; সিজিএস- এর চেয়ার, মুনিরা খান; সিজিএস- এর নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান; সাবেক জজ, কলামিস্ট ও আইনি পরামর্শদাতা, ইকতেদার আহমেদ; অধিকার কর্মী ও পরিচালক, অধিকার, এএসএম নাসিরুদ্দিন এলান; বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সভাপতি, ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ; আইনজীবী, ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম; আইনজীবী ও যুগ্ম সদস্য সচিব, এবি পার্টি, ব্যরিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ; যুগ্ম–সম্পাদক, প্রথম আলো, সোহরাব হাসান; সমকাল সম্পাদক এবং ব্যবসায়ী নেতা, এ.কে আজাদ; গবেষণা ফেলো, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিআইপিএসএস) সাফকাত মুনির; গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি, নুরুল হক নুর; সমন্বয়ক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, হাসনাত কাইয়ুম; সাবেক সংসদ সদস্য, উষাতন তালুকদার; রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রভাষক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ড. মাহবুবুর রহমান; লেকচারার, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সাইমি ওয়াদুদ; গবেষক ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি, সদস্য, পুলিশ সংস্কার কমিশন মো: জারিফ রহমান; শিক্ষার্থী প্রতিনিধি, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কাজী রাকিব হোসেন; শিক্ষার্থী প্রতিনিধি, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; রেজওয়ানা রশীদ,
সংলাপের শুরুতে জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ত্রুটি হল সুশানের অভাব। সংস্কার শব্দটি অনেক ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু এটি ঘৃণিত শব্দে পরিণত হয়েছে। সংস্কার চলনীয় একটি প্রক্রিয়া। আমরা সাধারন মানুষের কথা শোনার চেষ্টা করছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন করতে পারছেন না। সাধারন জনগন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ব্যবসা করতে পারছে না, পুলিশ মনোবল হারিয়ে ফেলেছে এবং প্রতিনিয়ত মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মেজর জেনারেল আ ন ম মুনীরুজ্জামান বলেন, সার্বিকভাবে কিভাবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ঠিক করা যায় তার উপর নজর দিতে হবে। কেবল পুলিশের উপর নয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে কমিশনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কথা বলে কমিশনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যা করা হচ্ছে না। পুলিশকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। পুলিশের মানসিক স্বাস্থ্যে ঘাটতি আছে। বর্তমান প্রযুক্তিগুলো পুলিশকে শিখাতে হবে। জনগণেরও পুলিশকে সাহায্য করতে হবে। পুলিশের কাজের তদারকি করার ব্যবস্থা করতে হবে। পার্লামেন্টে পুলিশের কোড অফ কন্ডাক্ট তৈরি করতে হবে। পর্যালোচনা প্রক্রিয়া আনতে হবে। জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল তৈরি করতে হবে। অ্যাডভোকেসি গ্রুপগুলোকে সাহায্য করতে হবে যেন ওয়াচ ডগ হিসেবে কাজ করতে পারে। জনগণকে তাদের দাবি তুলে ধরতে হবে যেন সেই দাবিগুলো তারা পূরণ করতে পারে।
জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, বিগত সরকার এমন আভাষ দিয়েছে যে তারা ক্ষমতায় না থাকলে অনেক মানুষ মারা যাবে। পুলিশের সেবা নাকি পুলিশের নিয়ন্ত্রন দরকার? এখানে কাজ করতে হবে। পুলিশের উপর নিয়ন্ত্রন কমাতে হবে। রাজনৈতিক সংস্কার করতে হবে যেন ক্ষমতার কেন্দ্রিকরণ না হয়। পুলিশের কাজ সেবা করা, এটি সব রাজনৈতিক দলগুলোকে বুঝতে হবে।
এম এনামুল হক বলেন, রাজনৈতিক নেতার আদেশের বিরুদ্ধে না বলার সাহস থাকতে হবে সবার যদি তা আপনার বিবেকে বেঁধে থাকে। প্রয়োজনবোধে সাহস করতে হবে। কমিশন আগেও হয়েছে কিন্তু তার প্রয়োগ হয় নি। তার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, স্কুলে পুলিশের কার্যক্রম অন্তরভুক্তিকরণে কিছু সমস্যা আছে। সাংস্কৃতিক আত্মস্থকরণ দরকার। এটি করতে সময় লাগবে। ভোট দেওয়ার অধিকার সবচেয়ে উপরে থাকবে। পুলিশকে আমরা হেনস্তাকারী সংস্থা হিসেবে তৈরি করেছি। পুলিশের পদন্নতি উপর দিকে দেওয়া হয়েছে। ট্রাইবালিজম থেকে বের হতে হবে। বিচার সব জায়গায় থাকতে হবে কেবল পুলিশের ক্ষেত্রেই নয়। ক্ষমা সবার চেতে হবে। যারা নির্দেশ দিয়েছে ও অর্থনীতি ধ্বংস করেছে তাদেরকেও ক্ষমা চাইতে হবে ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। ইতিবাচক কর্তৃত্বভিতী থাকতে হবে। অতিরিক্ত জোর প্রয়োগ যেন কেউ আর না করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
মো: জারিফ রহমান বলেন, পুলিশ ও জনগণের মাঝে একটা ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে জুলাই - আগস্ট গনঅভভুথানে। পুলিশ তার ভুল স্বীকার করেছে। কিন্তু দোষীদের বিচারেরে আওতায় আনতে হবে। ক্ষমতার কেন্দ্রিকরণ হয়েছে। এটার বিকেন্দ্রিকরণ করতে হবে কমিউনিইটি পর্যায় থেকে। এখানে নজর দিতে হবে। চেক এন্ড ব্যালেন্স কমিউনিইটি পর্যায় থেকে শুরু করলে অন্য কেউ জুলাই - আগস্টের মত কিছু করতে চেলেও তা পারবে না। কমিশনে এমন মানুষ থাকতে হবে যারা চাপিয়ে দেওয়া নির্দেশের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবে।
রেজওয়ানা রশীদ বলেন, পুনর্গঠন রাতারাতি পরিবর্তন হবে এমন চিন্তা থেকে বের হতে হবে। এটার জন্য গোঁড়া থেকে কাজ করতে হবে। কমিউনিটি পর্যায় থেকে কাজ শুরু করতে হলে পুলিশ এডুকেশন অন্তর্ভুক্ত করতে হবে স্কুল পাঠ্যক্রমে। মহিলা ও আদিবাসীদেরকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
কাজী রাকিব হোসেন বলেন, জুলাইয়ে পুলিশ জনগণের বন্ধু ছিল না। তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। স্বাধীন কমিশন তৈরি করা যেতে পারে। কমিশনের ভিতর রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের অংশগ্রহণ থাকতে হবে। আস্থা পুলিশের অপর থাকবে কিনা তা জনগন নির্ধারণ করবে। পুলিশের অনেক দায়িত্ব নিতে হয়। একজন একটি কাজ সামাল দিবে। বর্তমানে যেসব পুলিশের আইন আছে তার প্রতি অনুগত থাকতে হবে। র্যাবের দরকার নেই বাংলাদেশে। র্যাবকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
সাইমি ওয়াদুদ বলেন, স্বাধীন কমিশন করলেই সমাধান হবে এমন না। এর সাথে আন্তঃদলীয় সংস্কার করতে হবে। আমাদের নিরাপত্তার জন্য কিছু ভাল নিতিমালা আছে তা মেনে চলতে হবে।
এএসএম নাসিরুদ্দিন এলান বলেন, পুলিশ গত ১৫ বছর অনেক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। তারা দায়মুক্ত ছিল যা বিগত সরকার দিয়েছে। জুলাই - আগস্টের পর পুলিশের মনোবল কমে গেছে। আমরা যেই সংস্কারের দিকে যেতে চাচ্ছি সেদিকে যেতে পারছি না। এরপর যেই সরকার আসবে তারা যদি সংস্কার না করতে পারে তবে আমরা আবার ফ্যাসিজম দেখতে পাব।
নুরুল হক নুর বলেন, পুলিশকে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। এটি প্রতিরোধ করার জন্য মানবাধিকার সনদ মানতে হবে এবং আমাদের যা নিয়ম আছে তা অনুসরণ করতে হবে। পুলিশের কাঠামো ঠিক করতে হবে। রাজনীতির সংস্কার করতে হবে। বেসরকারি সংস্থাগুলো এখানে কাজ করতে পারে। রাষ্ট্র ব্যবস্থার যে পচন ধরেছে তার সংস্কার করতে হবে। রাজনীতি দলগুলোর মধ্যে গনতান্ত্রিক চর্চা ও বিকাশের মনোভাব আনতে হবে।
সাফকাত মুনির বলেন, গত ১৬ বছর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে একটি রাজনৈতিক দল ব্যবহার করেছে। এই সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে। সেনাবাহিনী থাকবে সেনাবাহিনীর জায়গায় এবং পুলিশ থাকবে পুলিশের জায়গায়। এখানে তুলনা হবে না। পুলিশের যেই অস্ত্র লাগবে তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। এত স্পেশালাইজড ইউনিট লাগবে না। এতে প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। পুলিশের কাঠামোর দিকে নজর দিতে হবে। পুলিশেরও ন্যায্য দাবি দেখতে হবে। পুলিশ ও ডিজিআই ক্ষমা চেয়েছে যা প্রশংসনীয় কারণ ক্ষমা চাওয়া আমদের সংস্কৃতিতে নেই।
এ.কে আজাদ বলেন, ৫২ থেকে এই পর্যন্ত পুলিশের তুলনা করে দেখেন তার উন্নতি হয়েছে নাকি অবনতি? পুলিশকে এই পর্যায়ে কে নিয়ে গেল? এগুলো রাজনৈতিক দলগুলো করে থাকে। পুলিশকে অমানবিক কাজে নিয়োজিত করা যাবে না। র্যাবকে বিলুপ্ত করতে হবে। এগুলো না করলে এটি চলতেই থাকবে।
উষাতন তালুকদার বলেন, আমরা বলি দেশের মালিক জনগণ। কিন্তু আসলেই কি তাই? যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করে তারা কার স্বার্থে কাজ করে? পুলিশ নিয়োগের ক্ষেত্রে তার দলীয় পরিচয় দেখা যাবে না। যারা ক্যাডার হয় তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সামগ্রিকভাবে মূল্যবোধ ঠিক করতে হবে। সেনাবাহিনী থেকে র্যাবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। গায়েবি মামলা নিয়ে বর্তমান সরকার কিছু করেনি। পুলিশের বেতনভাতা বাড়ানো নিয়ে চিন্তা করতে হবে। পার্বত্য অঞ্চলে পুলিশের ক্ষমতা জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
রাশনা ইমাম বলেন, আইনি অবকাঠামো পরিবর্তন করা হয়নি। আইনের সঠিক প্রয়োগ হলে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হত না। এগুলো মানা হয় না। বিচার বিভাগে রিট করা হয় যে পুলিশ যেন ছাত্রদের উপর আক্রমন না করে। কিন্তু তা পরে খারিজ করে দেওয়া হয়। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই। আইনি সংস্কার দরকার কিন্তু তা ঢালাওভাবে করা যাবে না। প্রাধান্য অনুসারে করতে হবে। পুলিশের চেক্স এন্ড ব্যালেন্স থাকতে হবে। রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা থাকতে হবে। পুলিশের কি কি সংস্কার করতে হবে তা নিয়ে তাড়াতাড়ি চিন্তা করতে হবে।
সোহরাব হাসান বলেন, গত ৫৪ বছরে আমরা রাষ্ট্র গঠন করতে পারি নি। গত ৪ মাসে কিছু কমিশন হয়েছে কিন্তু সেখানে ধর্মীয় সংখ্যালঘু বা উপজাতি প্রতিনিধি নেই। বৈষম্য ভেদাভেদ দূর করতে হবে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী স্বাধীনভাবে কি কাজ করতে পারে? বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হতে হবে। পুলিশ ও বিচার বিভাগকে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন ভবিষ্যতে কোন সমস্যা না হয়।
মাহবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে কোটি কোটি বাহিনী আছে। স্বৈরাচারীরা এদের উপরেই টিকে থাকে। গোয়েন্দা সংস্থাতে কাকে কে উঠিয়ে নিল, গুম করল বা মেরে ফেলল সেখানে কো-অরডিনেশন থাকে। বাইরের দেশের গোয়েন্দা কি করে আমাদের দেশে অপরাধ করতে পারে? তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠাতারা রাষ্ট্র কি তা তারা বুঝতে পারে নি। রাজনৈতিক দলগুলো আর্টিকেল ৭ এর মধ্যে আটকিয়ে আছে। এই রাষ্ট্রতে জমিদারি অবস্থা, ধাওয়া - পাল্টা ধাওয়া এখনও চলছে। এখান থেকে বের হতে হবে। আমাদেরকে এদেশের নাগরিক হতে হবে, বাসিন্দা নয়।
ইকতেদার আহমেদ বলেন, পুলিশের সংজ্ঞা ঠিক করতে হবে। অতীতে এবং বর্তমান সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করে কাজ করছে। এরকম হতে থাকলে দেশে কখনো গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতে পারবে না। আইন কমিশনে আসবে পিএইচডি করা ব্যাক্তি। বিগত সরকার তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশের জন্য কিছু বিচারককে নিয়োগ করেছিল।
আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, আমাদের দেশে একজন ভাল রাজনীতিবিদ দরকার। ভাল মানুষদেরকে সংসদে আসতে হবে, দেশ শাসনে আসতে হবে। খারাপ ভোটার খারাপ মানুষদেরকে ক্ষমতায় আনবে।
হাসনাত কাইয়ুম বলেন, বাংলাদেশের সংস্কারে রাজনৈতিক নেতারা নিজের জন্য পুলিশকে ব্যবহার করে থাকে, নিজের দলকে বাইরের আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে, পুলিশই সেই অভিযোগের তদন্ত করে থাকে। এখানে নজর দিতে হবে।
মুনিরা খান বলেন, গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন এখন ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত সবাই পুলিশকে ব্যবহার করেছে। অন্যায়কারীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিচার বিভাগের সাথে পুলিশের সমন্বয় করতে হবে। পুলিশ একজনকে ধরে নিয়ে যায় কিন্তু পরে সে ম্যাজিস্ট্রেটকে টাকা দিয়ে বের হয়ে যায়। এমনটি যেন না হয়।
//এল//