ছবি সংগৃহীত
সাভারে দাফন করা মরদেহটি বিএনপি নেতা আবুল হারিছ চৌধুরীর ছিল। পরিচয় নির্ধারণে কবর থেকে তুলে করা ডিএনএ টেস্টের ফল তার পরিবারের সঙ্গে মিলেছে। এখন পরিবারের পছন্দমতো কবরস্থানে হারিছ চৌধুরীর মরদেহ দাফন করা যাবে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের পর বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহদীন চৌধুরী।
প্রয়াত হারিস চৌধুরীর মেয়ে একাত্তরকে জানিয়েছেন, বাবা দেহাবশেষ দাফন হবে সিলেটের কানাইঘাটে।
এর আগে পাঁচ সেপ্টেম্বর হারিছ চৌধুরীরমেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিনের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ আবুল হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নির্ধারণে কবর থেকে তুলে ডিএনএ টেস্ট করার নির্দেশ দেন।
২০২১ সালে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই বছরের সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও বিএনপির সাবেক নেতা আবুল হারিছ চৌধুরী ‘মাহমুদুর রহমান’ পরিচয়ে ঢাকার সাভারের জালালাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসার কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সামিরার ভাষ্য, ২০২১ সালের তিন সেপ্টেম্বর ৬৮ বছর বয়সে ঢাকার একটি হাসপাতালে বাবা মারা যান। পরে ঢাকার অদূরে একটি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর লাপাত্তা হয়ে যান হারিছ। তখন অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তার তিন বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি গাড়ি অন্যকে ব্যবহার করতে দেওয়ার আরেক মামলায় তার ৫৯ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ হয়।
২০১৮ সালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে হারিছেরও সাত বছরের সাজা হয়। তার আগেই ওই বছর গ্রেনেড হামলার মামলায় হারিছের সাজার রায় হয়।
২০২১ সালের শেষ দিকে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে হারিছের কথিত মৃত্যুর খবর আসে। তবে কোথাও বলা হচ্ছিল, হারিছ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মারা গেছেন। কোথাও বলা হয়, হারিছ মারা গেছেন লন্ডনে।
২০২২ সালের ছয় মার্চ দৈনিক মানবজমিনের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ২০২১ সালের তিন সেপ্টেম্বর হারিছ ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান। তার আগে ১১ বছর মাহমুদুর নামে ঢাকার পান্থপথের একটি ফ্ল্যাটে থাকছিলেন তিনি।
ইউ