
সংগৃহীত ছবি
আশানুরূপভাবে বাড়েনি নারী সাংবাদিকের সংখ্যা । সমাজে দৃষ্টিভঙ্গির বাধা, নারীকে মানুষ হিসেবে মনে না করা এমন হাজারো কারণে এখনো নারীরা পিছিয়ে রয়েছেন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের (বিএনএসকে) সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু।
রবিবার ( ১৬ মার্চ) রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে ইআরএফ হলে বিকাল সাড়ে ৪টায় বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের ২৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এবং নারী দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি
নাসিমুন আরা হক মিনু এ মন্তব্য করেন।
দি ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের বিশেষ সংবাদদাতা ও সংগঠনের সহ-সভাপতি মুনিমা সুলতানার সঞ্চালনায়
বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক শাহনাজ সিদ্দীকি সোমা, ইকোনমিক রিপোর্টাস ফোরামের সভাপতি দৌলত আকতার মালা, একাত্তর টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি শাহনাজ শারমিন, একুশে টেলিভিশনের মুশফিকা নাজনীন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের কোষাধ্যক্ষ আখতার জাহান মালিক, খবরের কাগজের সিনিয়র রিপোর্টার ও সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনাজ পারভীন এলিস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দৈনিক ইত্তেফাকের দিলরুবা খান, একাত্তর টেলিভিশনের জেষ্ঠ প্রতিবেদক ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদিয়া শারমিন প্রমুখ। কেক কেটে ২৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর পালন ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে সংগঠনটি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সদস্য ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নারী সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
নাসিমুন আরা হক মিনু আরও বলেন, এবার নারী দিবস শোকের মধ্য দিয়ে উদযাপন করেছি। সম্প্রতি অনেক মেয়েশিশু ধষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে আছিয়ার ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। দেশে দিন দিন নারী ও শিশু নিপীড়ন বেড়েই চলছে। এই বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। নারী ও শিশু নির্যাতিত হচ্ছে কিন্তু বিচার পাচ্ছে না এটাও দুঃখজনক ।
নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, তবুও আমাদের অনেক নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। সকল বাধা পেরিয়ে খেলা ধুলায় , সাংবাদিকতায়, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে প্রতিভা অর্জন করছে আমাদের সাহসী নারীরা। সফল হচ্ছে। নারীরা এভারেস্টের চূড়ায় যাচ্ছে। প্লেন ওড়াচ্ছে। অনেক সাফল্যর রয়েছে আমাদের অনেক সাহসী নারীদের। তাই আমাদের নারীদের আওয়াজ তুলতে হবে। যে কোন নিপীড়নের জন্য আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে। প্রতিবাদ করা শিখতে হবে। কোন অন্যায়কে মেনে নেয়া যাবে না।
দৌলত আকতার মালা, বলেন, আমাদের যেমন বঞ্চনার কথা রয়েছে, তেমনি আশার কথাও রয়েছে। প্রতিষ্ঠানে আমরা আমাদের এমনভাবে তৈরি করতে পারি, যেখানে প্রতিষ্ঠান আমাদের হারাতে ভয় পাবে। আমরা চাকরি হারাতে ভয় পাবো না।
শাহনাজ শারমিন বলেন, চলার পথে নিজেকে তৈরি করতে হয়। প্রথম যিনি থাকেন তার পথটা সংকটাপন্ন থাকে। কারণ অনেক বাধা পেরিয়ে সেই পথটা তাকে অতিক্রম করতে হয়। তাকে অনুসরণ করে কয়েকজন ওই পথে হাটলে একটি পথ তৈরি হয়ে যায়। যার মানসিক শক্তি আছে সেই ওই পথে হাটতে পারবে।
//এল//